বিপাশার মেয়ের জন্য আলিয়ার ব্যাগভর্তি উপহার

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৫৪ পিএম, ০৬ জুলাই ২০২৪

বলিউড নায়িকা আলিয়া ভাট এবং বিপাশা বাসু ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে দিন কয়েকের ব্যবধানে মা হয়েছিলেন। এ কারণে একসঙ্গে কাজ না করলেও তাদের মধ্যে বেশ সখ্য তৈরি হয়।

মূলত মা হওয়ার অনুভূতিতেই দুই বিপাশা ও আলিয়ার মাঝে হৃদ্যতা সৃষ্টি হয়েছে। তাই এবার রাহার ছোট বন্ধু মানে বিপাশার মেয়ে দেবীর জন্য বিশেষ উপহার পাঠালেন আলিয়া।

আলিয়ার কাছ থেকে উপহার পেয়ে বেজায় আপ্লুত বিপাশা বসু। তৎক্ষণাৎ ছবি শেয়ার করে ধন্যবাদ জানালেন আলিয়া ভাটকে। সেই ছবিতেই দেখা গেল, দেবীর জন্য গোলাপি রঙের জামার সেট এবং বই পাঠিয়েছেন তিনি। বিপাশা জানালেন, ‘দেবীর তো দারুণ পছন্দ হয়েছে। ওর এখনই মুখস্থ করার মতো অবস্থা! একেবারে অসংখ্য ধন্যবাদ আলিয়া এ মিষ্টি জামাটার জন্য।’

আরও পড়ুন:

অভিনেত্রী যে ম্যাটারনিটি পোশাক প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, সেখান থেকেই বিপাশার মেয়ের জন্য উপহার পাঠিয়েছেন তিনি। রাহার জন্ম ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর। এর ঠিক ছয় দিনের মাথায় বিপাশার কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। দুই তারকা সন্তানকে নিয়ে ভক্তদেরও কৌতূহলের শেষ নেই! সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিশুদের কীর্তিকলাপে মজে থাকেন অনুরাগীরা।

‘ইড-এ-মাম্মা’ সংস্থাটি আলিয়াই শুরু করেছিলেন। পরে সংস্থার সিংহভাগ শেয়ার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রি কিনে নেয়। তবে আলিয়া ভাট এখনো সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। ২০২০ সালে পোশাকের ব্র্যান্ডস ‘ইড-এ-মাম্মা’ শুরু করেছিলেন আলিয়া। শিশুদের জন্য কম দামে ব্র্যান্ডের পোশাক বিক্রি করাই ছিল তার মূল লক্ষ্য। এখন প্রতিষ্ঠানটির সাইটে গেলে ছেলে-মেয়ে উভয়ের পোশাকের তালিকা দেখা যাবে। আলিয়ার এ ব্র্যান্ডের বিক্রিও বেশ ভালো হচ্ছে।

জানা গেছে, তিনশো থেকে সাড়ে তিনশো কোটি রুপির বিনিময়েই নাকি এ ব্র্যান্ডের শেয়ার কিনে নিয়েছে রিল্যায়েন্স ব্র্যান্ডস। তবে আলিয়া এখনো যুক্ত। আর সেই প্রতিষ্ঠান থেকেই বলিউড তারকাদের সন্তানদের উপহার পাঠান আলিয়া।

আরও জানা গেছে, সম্প্রতি হবু মা রিচা চাড্ডার কাছেও উপহার পাঠানো হয়েছে। সোনম কাপুরের ছেলে বায়ু, কারিনা কাপুরের ছেলে জেহসহ আরও অনেক তারকা সন্তানদের কাছে উপহার পাঠানো হয়েছে।

এমএমএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।