শাহরুখপুত্র আরিয়ান শুটিং সেটে নির্মাতা হিসেবে কেমন

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৩ পিএম, ১৭ মার্চ ২০২৪

বাবার মতো শোবিজেই কাজ করা যেন শাহরুখপুত্র আরিয়ানের জন্য স্বাভাবিক কোনো ঘটনা। শৈবব থেকেই ক্যামেরার আশপাশে কাটে তার সময়।

বড় হয়ে অবশ্য বাবার পথে হাঁটতে চাননি শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খান। বিনোদন ভুবনে এরই মধ্যে পা রাখলেও নিজেকে ক্যামেরার পেছনেই রেখেছেন আরিয়ান।

অভিনেতা নয়, নির্মাতা হিসেবে বলিউডে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে চান আরিয়ান। নিজের প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘স্টারডম’র শুটিং শুরু করেছেন বেশ কয়েক মাস হয়েছে। সাধারণত তারকাদের সন্তানরা অভিনেতাই হয়ে থাকেন। তবে আরিয়ান সে দিক থেকে একেবারেই আলাদা। অনেকেরই ধারণা, আরিয়ান নাকি কাউকে পাত্তা দেন না।

আরও পড়ুন

আরিয়ান অন্য স্টারকিডদের মতো আলোকচিত্রীদের সামনে পোজ দেন না। যেন প্রচারের আলো কিছুটা এড়িয়ে চলেন তিনি। কিন্তু নির্মাতা হিসেবে সেটের ভেতরে কেমন আচরণ করেন আরিয়ান তা অনেকেই জানতে চান।

সত্যি কথা হচ্ছে- শাহরুখ-পুত্র বলে আরিয়ানের বাড়তি কোনো অহংকার নেই। তিনি সবার মতামতের গুরুত্ব দেন। একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, ‘আরিয়ান এমন একজন মানুষ যিনি যেমন সমালোচনা ভালোভাবে গ্রহণ করতে, তেমনই অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেন’।

দিন কয়েক আগেই একটি দৃশ্যে মনের মতো শট পাচ্ছিলেন না। তখন পুরনো সব কলাকুশলীদের পরামর্শ অনুযায়ী শট নেন। বিন্দুমাত্র অহংকার বা আত্মশ্লাঘা নেই আরিয়ানের মধ্যে।

ছেলের প্রথম সিরিজ প্রযোজনার ভার নিয়েছেন বাবা শাহরুখ। তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘রেড চিলিজ এন্টারটেনমেন্ট’র পক্ষ থেকেই নির্মাণ করা হচ্ছে সিরিজটি। গ্ল্যামার জগতের নেপথ্যকাহিনি অবলম্বনে এ সিরিজের চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে। ছয়টি পর্বের এ সিরিজের শুটিং শেষ পর্যায়ে।

এ সিরিজে ক্যামিও করছেন রণবীর সিংহ ও শাহরুখ খান। যদিও এ নিয়ে কোনো কথাই বলেননি আরিয়ান। যেখানে নবাগত পরিচালকদের কাজ বিক্রি করতে প্রযোজকদের দোরগোড়ায় ঘুরতে হয়, সেখানে আরিয়ানের কাজ কেনার জন্য ১২০ কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়ে বসে আছে প্রথম সারির ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো। যদিও কাজ যত ক্ষণ না শেষ হচ্ছে, বিক্রি নিয়ে ততক্ষণ কোনো চিন্তাভাবনা করতে আরিয়ান রাজি নন।

এমএমএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।