সুস্থ হওয়ার পরে যা বললেন শ্রেয়স
সম্প্রতি হৃদরোগে গুরুতর আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ‘ওম শান্তি ওম’ খ্যাত বলিউড তারকা শ্রেয়স তলপড়ে। তারপর তার অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা হয়। গত ২০ ডিসেম্বর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন এ তারকা।
তার স্ত্রী দীপ্তি ইনস্টাগ্রামে শ্রেয়সের সুস্থতার খবর সবাইকে জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এবার সুস্থ হওয়ার পর প্রথম মুখ খুললেন শ্রেয়স তলপড়ে। তিনি জানালেন, স্বাস্থ্যকে অবহেলা করা মোটেই উচিত নয়।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন বলিউড তারকা শ্রেয়স
এক সাক্ষাৎকারে শ্রেয়স বলেন, ‘আমি এর আগে কখনো হাসপাতালে ভর্তি হইনি। একটু ফ্রাকচারের জন্যেও না। জীবনে এ প্রথম হাসপাতালে ভর্তি হতে হলো আমাকে। এ অভিজ্ঞতা প্রথম হলো। তাই নিজের স্বাস্থ্যকে কখনো অবহেলা করবেন না। জান হ্যায় তো জাহান হ্যায়। আর এই ধরনের অভিজ্ঞতা আপনার জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিই আমূল বদলে দেবে’।
শ্রেয়স আরও বলেন, ‘বিগত ২৮ বছর ধরে আমি নিজের ক্যারিয়ারের প্রতি মন দিয়েছিলাম। আর এতটাই ডুবে ছিলাম যে নিজের শরীরের দিকে খেয়াল করার সুযোগ হয়নি। আমরা আমাদের পরিবারকে টেকেন ফর গ্র্যান্টেড ভেবে নিয়েছি। ভেবেছি হাতে অনেক সময় আছে। আমরা কঠোর পরিশ্রম করে যাই, কিন্তু জীবনই যদি না থাকে তাহলে তার কী মানে? বেশ কিছুদিন ধরেই আমার আলস্য লাগছিল, ক্লান্তি বোধ হচ্ছিল। তারপরেও আমি কাজ চালিয়ে গিয়েছি। চেক আপে কোলস্টেরল ধরা পড়ে। আমার পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাস রয়েছে, ফলে সেই কারণে আগাম চিকিৎসাও শুরু হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: শুটিং শেষে হৃদরোগে আক্রান্ত অভিনেতা
শ্রেয়স এদিন জানান, ডাক্তারি পরিভাষায় তিনি একপ্রকার মৃতই ছিলেন। এটা যেন তার দ্বিতীয় জীবন। তার জীবন বাঁচানোর জন্য যারা যারা সামান্য হলেও সাহায্য করেছেন তাদের প্রত্যেককে শ্রেয়স তলপড়ে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
‘ওয়েলকাম টু দ্য জঙ্গল’ সিনেমা শুটিং শেষে বাড়ি এসেই হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন শ্রেয়স তলপড়ে। ১০ মিনিটের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তার হৃদযন্ত্র।
তবে দ্রুত তাকে মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার সফলভাবে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি সম্পন্ন হয়।
এমএমএফ/জেআইএম