সহকারী ছাড়া রেখার শোয়ার ঘরে কেউ প্রবেশ করতে পারে না
বলিউড তারকা রেখা আর বছর দুয়েক পরেই ৭০ বছরে পা দেবেন। আশির দশকে এ নায়িকার ক্যারিয়ারের সেরা সময় কেটেছে। তারপর সিনেমার সংখ্যা কমে গেলেও এখন তার সৌন্দর্যে মুগ্ধ দর্শক এবং ভক্ত-অনুরাগীরা। তাকে সবাই ‘চিরসবুজ’ রেখা বলে মনে করেন।
আরও পড়ুন: ৬৭ বছরেও ‘তরুণী’ রেখার সৌন্দর্যের রহস্য
তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। বিশেষত অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তার সম্পর্ককে ঘিরে হয়েছিল বিপুল সমালোচনা। সে সময় অনেকেই মনে করেছিলেন, নায়িকার সঙ্গে গভীর কোনো সম্পর্কে জড়িয়েছেন অমিতাভ।
নায়কের পক্ষ থেকে এ প্রসঙ্গে কোনো জবাব না পাওয়া গেলেও পরবর্তীকালে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে রেখা স্বীকার করেছিলেন, তার অমিতাভের প্রতি দুর্বলতার কথা।
সম্প্রতি আরও এক খবরে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন রেখা। লেখক ইয়াসের উসমানের লেখা ‘রেখা দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ বইটিতে উঠে এসেছে নায়িকার জীবনের বেশ কিছু গোপন তথ্য।
দুমাস অন্তর বিদেশ ভ্রমণ, অদ্রিজার বিলাসবহুল জীবনযাপন নিয়ে শুরু ব্যাপক সমালোচনা। এ প্রসঙ্গে লেখকের দাবি, বহু বছর ধরে রেখা তার ব্যক্তিগত সহকারী ফারজানার সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। এই ফারজানা বহু বছর ধরে রয়েছেন অভিনেত্রীর সঙ্গে। প্রতি মুহূর্তে তাকে রেখার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এক কথায় বলা যেতে পারে ফারজানা হলেন রেখার ছায়াসঙ্গী।
রেখা বার বার তার সহকারীকে নিজের বোনই বলে এসেছেন। তবে এ বই প্রকাশ হওয়ার পর অবাক অনেকেই। বইতে লেখা রয়েছে, রেখার বেড রুমে (শোয়ার ঘরে) ফারজানা ছাড়া আর কারো ঢোকার অনুমতি নেই। ফারজানার অনুমতি ছাড়া রেখার আশেপাশে কেউ-ই ঘেঁষতে পারে না।
আরও পড়ুন: রেখার বাংলোতে করোনার হানা
রেখার বাড়ির খুঁটিনাটি থেকে তার পেশাদার জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্ত নেন ফারজানাই। রেখার জীবনীতে লেখক লিখেছেন, কয়েক দশক ধরে ব্যক্তিগত সহকারীর সঙ্গেই সম্পর্কে রয়েছেন রেখা। শারীরিক এবং মানসিক দুদিক থেকেই রেখা ফারজানার উপর নির্ভরশীল। তাদের সম্পর্কে ফারজানার ছেলের ভূমিকা পালন করেন।
আরও পড়ুন: বলিউডে বড় চমক : সঞ্জয়লীলার সিনেমায় রেখা ও মাধুরী
লেখিকা মালবিকা সাংহাই তার বইতে লিখেছেন, রেখার জীবন ফারজানা ছা়ড়া অচল। অভিনেত্রীর স্বামী মুকেশ অগরওয়াল নাকি নায়িকের এই সম্পর্কের জন্যই আত্মহত্যা করেন। এই সব তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর অবাক সবাই। তবে এ প্রসঙ্গে এখন পর্যন্ত রেখার পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য আসেনি।
তথ্যসূত্র: আনন্দআবার
এমএমএফ/এএসএম