মানিলন্ডারিং মামলা
হাজিরা দিতে যাবেন না জ্যাকলিন, শিগগির নতুন সমন জারি
২০২১ সালে সবচেয়ে বড় বিতর্ক ছিল সুকেশ চন্দ্রশেখর ও অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের মধ্যে সম্পর্ক। তবে সুকেশের সঙ্গে জ্যাকলিনের এই সম্পর্ক যে শুধু অর্থের লোভেই ছিল তা আর গোপন নেই।
আর সেই লোভেই ফেঁসে গেছেন বলিউড অভিনেত্রী। সুকেশের সঙ্গে শত কোটি টাকা মানিলন্ডারিং মামলায় অভিযুক্ত জ্যাকলিনও।
এ জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক উইংস। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) এই জিজ্ঞাসাবাদের তারিখ নির্দিষ্ট ছিল। তবে জ্যাকলিন হাজিরা দিতে পারবেন না বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। এজন্য সময় চেয়েছেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দিল্লি পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জ্যাকলিন তদন্তে যোগ দিতে না পারার কথা মেইলে জানিয়েছেন। তাই পরবর্তীতে তাকে নতুন করে সমন পাঠানো হবে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, সুকেশের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল জ্যাকলিনের। দুজনের একাধিক অন্তরঙ্গ ছবি ফাঁস হয়েছে।
আপাতত দিল্লি কারাগারে রয়েছেন সুকেশ। ১০টিরও বেশি অপরাধের মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দাবি, সুকেশের টাকার অবৈধ উৎস সম্পর্কে জেনেও নিজ লাভের জন্য তার সঙ্গ ছাড়েননি জ্যাকলিন।
ইডির রিপোর্টে জানা গেছে, সুকেশ চন্দ্রশেখর নিজের সহকারী পিঙ্কি ইরানিকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন জ্যাকলিনের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য। এরপর নায়িকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন সুকেশ। এমনকি তাকে দামি উপহার দেন। জ্যাকলিনের পরিবারের সদস্যদেরও দামি উপহার দেন সুকেশ।
সুকেশ বিবাহিত এবং তার অপরাধের ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে তাও জানতেন জ্যাকলিন।
২০০ কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের মামলা রয়েছে সুকেশের বিরুদ্ধে। আর এ মামলার চার্জশিটে নাম রয়েছে জ্যাকলিনেরও।
জেডএইচ/জেআইএম