কেকে-র মৃত্যু, নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন রূপঙ্কর

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:১৩ পিএম, ০৩ জুন ২০২২

সদ্য প্রয়াত বলিউডের সংগীতশিল্পী কেকে’কে নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই নীরবতা ভাঙলেন রূপঙ্কর বাগচী। শুক্রবার (৩ জুন) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে হাতজোড় করে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন তিনি। কেকে’র পরিবারের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন এই শিল্পী।

গত সোমবার (৩০ মে) রাতে কেকে’কে নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেন রূপঙ্কর। ঠিক তার পরদিন মঙ্গলবার (১ জুন) রাতে নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন কেকে। শেষ পর্যন্ত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন তিনি। রূপঙ্করের বিতর্কিত মন্তব্যের পরই শিল্পীর মৃত্যুর ঘটনায় ফুঁসতে থাকেন অনুরাগীরা। সমালোচনার ঝড় বইতে থাকে সর্বত্র। কোণঠাসা হয়ে যান রূপঙ্কর। তার স্ত্রীকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রূপঙ্কর। সেদিনের ভিডিওটির জন্য ক্ষমা চান সংগীতশিল্পী। সমালোচনার জেরে তার মানসিক অবস্থা ঠিক কী অবস্থা গেছে, তার ব্যাখ্যা দেন রূপঙ্কর।

jagonews24

তিনি বলেন, আমার সংগীত জীবনে এইরকম বিভীষিকার মুখোমুখি হতে হবে কখনো ভাবিনি। ওড়িশায় বসে করা ভিডিও পোস্ট এমন পরিস্থিতি তৈরি করবে যা আমার গোটা পরিবারকে চরম দুর্ভাবনা এবং মানসিক নিপীড়নের মধ্যে ঠেলে দেবে। মুহূর্তের অসতর্কতা যে এমন গনগনে এবং মারমুখী আবেগ বয়ে আনবে কে জানত? শুধু বুঝিয়ে না বলতে পারার ফলেই এত সমালোচনা হয়েছে।

এসময় বর্তমান পরিস্থিতির জন্য কেকে’র পরিবারের কাছে নিঃস্বার্থ ক্ষমা চান তিনি।

প্রয়াত সংগীতশিল্পীর প্রতি কোনো বিদ্বেষ নেই জানিয়ে রূপঙ্কর বলেন, আমার কেকে সম্পর্কে ব্যক্তিগত কোনো বিদ্বেষ নেই। থাকার প্রশ্নও ওঠে না। আমি শুধু তার কনসার্ট নিয়ে তৈরি হওয়া উন্মাদনা লক্ষ্য করে বলতে চেয়েছিলাম, বাঙালি গায়কদের জন্য আপনারা একইরকম দরদ দেখান। ব্যক্তিগতভাবে গায়ক হিসেবে আমার কোনো হতাশা নেই। একজন প্রথিতযশা শিল্পী কলকাতার মঞ্চে গাইতে এসে যেভাবে প্রাণ হারালেন সেটা খুব হৃদয় বিদারক।

ওই বিতর্কিত ভিডিওতে বাংলার বেশ কয়েকজন সংগীতশিল্পীর নাম উল্লেখ করেছিলেন রূপঙ্কর। অনুমতি ছাড়া তা করা উচিত হয়নি বলে জানান রূপঙ্কর।

আরএডি/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।