দেখা হলেই আফসোস করতেন বাপ্পি দা: কুমার বিশ্বজিৎ

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫২ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২

ভারতীয় কিংবদন্তি গায়ক বাপ্পি লাহিড়ি। হঠাৎ করেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে মুম্বাইয়ের জুহুরের এক হাসপাতালে। তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যু উপমহাদেশের সংগীতে শোক নামিয়েছে।

বাংলাদেশেও বাপ্পি লাহিড়ি কাজ করেছেন। এখানেও আছে তার অনেক ভক্ত-অনুরাগী। দেশের নন্দিত গায়ক কুমার বিশ্বজিতের সঙ্গেও তার সখ্যতা ছিলো। প্রিয় ‘বাপ্পিদা’-কে হারিয়ে শোকে ভাসছেন তিনিও।

শোক জানিয়ে করলেন স্মৃতিচারণ। তিনি বলেন, ‘বাপ্পি লাহিড়ির সঙ্গে আমার প্রথম দেখা লন্ডনে। আমরা একসঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলাম। সেখানে আমরা আট নয়দিন ছিলাম। সখ্যতার শুরু সেখানেই। তারপর জাপানে গেলাম। সেখানে সম্পর্কটা পারিবারিক হয়।

কারণ জাপানে বাপ্পি দা তার বাবাসহ পুরো পরিবার নিয়ে গিয়েছিল। সেই সূত্রে বাপ্পি দা’র পাশাপাশি তার পরিবারের সঙ্গে আমার দারুণ এক সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাপ্পি দা আমাকে তার সঙ্গে গানের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। দেখা হলেই আফসোস করতেন আমাদের একসঙ্গে গান করা হলো না বলে। আমি একবার কলকাতায় গিয়েছিলাম ‘প্রতিঘাত’ সিনেমার ‘শোনো সোমা একটু দাঁড়াও কথা শুনে যাও’ গানটির রেকর্ডিংয়ে। গানটি সুর সংগীত করেছেন শেখ সাদী খান। ওইসময় কলকাতায় বাপ্পি লাহিড়ি এসেছিলেন। আমার সঙ্গে দেখা হতেই বাপ্পি দা আমাকে বলেছিলেন এখানে থেকে যাও।

অবশেষে বাপ্পি দা’র সুরে আমার একটি গান করার সুযোগ হয়েছিল। বাংলাদেশে বিপিএলের শুরুতে একটা থিম সং করেছিলাম আমি, শান ও বাপ্পি দা। গানটির সুর করেছিলেন তিনি। তার কাছে অনেক কিছু শিখেছি। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।’

কুমার বিশ্বজিৎ আরও বলেন, ‘অল্প কয়েকদিনের ব্যবধানে লতা মঙ্গেশকর, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও বাপ্পি লাহিড়ি চলে গেলেন। সংগীতের জন্য এটা অনেক বড় কষ্টের, শূন্যতার। আমাদের শৈশব কৈশর কেটেছে তাদের গান শুনে। এই মানুষগুলো একেকজন একেকটা প্রতিষ্ঠান। তাদের মতো আর কেউ আসবে না। উনারা সংগীত সাধক ছিলেন।’

এলএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।