যে কারণে সবসময় সোনার গয়না পরতেন বাপ্পি লাহিড়ি
ভারতীয় সংগীতাঙ্গনে আরও এক জ্বলজ্বলে নক্ষত্রের পতন হলো। লতা মঙ্গেশকর ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই এবার না ফেরার পথে যাত্রা করলেন উপমহাদেশের আরেক প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ি।
নিজের গান দিয়ে নাচিয়ে ছেড়েছিলেন ছোটবড় সকলকেই। ‘ডিস্কো কিং’র তকমাও পেয়েছিলেন তিনি। তবে গানের পাশাপাশি বাপ্পি লাহিড়ি জনপ্রিয় ছিলেন তার ফ্যাশনের জন্য।
সোনার গয়না, রঙিন সানগ্লাসে ভিড়ের মধ্যেও আলাদা হয়ে থাকতেন এই প্রতিভাধর শিল্পী। তাকে বলিউডের ‘গোল্ডেন ম্যান’ বলা হতো। তাকে কোনো সময়ই সোনার হার, ব্রেসলেট, আংটি ছাড়া দেখা যায়নি।
বাপ্পি লাহিড়ি তার ক্যারিয়ারজুড়ে সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের মুখে পড়েছেন এই সোনাপ্রীতি নিয়ে। এসব প্রশ্নের উত্তরে কখনো মজা করেছেন, কখনো বা এড়িয়ে গেছেন কৌশলে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে একটি সাক্ষাৎকারে একবার বাপ্পি বলেছিলেন, তার অনন্য লুকের অনুপ্রেরণা যুক্তরাষ্ট্রের রক সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা এলভিস প্রিসলি। তিনি বলেন, ‘এলভিস প্রেসলি সোনার চেইন পরতেন। আমি তার বড় ভক্ত ছিলাম। আমি তার গয়না পরা খুবই পছন্দ করতাম। সে সময় আমি ভাবতাম, যখন প্রতিষ্ঠিত হব তখন আমি নিজের একটা আলাদা ইমেজ তৈরি করব। এরপর যখন আমি সফল হই। সোনা কেনার আর্থিক ক্ষমতা অর্জন করি, তখন আমি একের পর এক গয়না কিনি।’
তার কথায় সোনার গয়না পরা খুব সৌভাগ্যের বস্তু ছিল তার কাছে। তাই সেটিও একটি কারণ ছিল বলে জানান লাহিড়ি।
সেই সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, তার কাছে যত ধরনের সোনার গয়না, বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের চেইন ও আংটি সংরক্ষিত রয়েছে, তা অনেক গয়নাপ্রেমী নারীদের কাছেও নেই।
ভারতীয় সিনেমা ডিস্কো ঘরানার সংগীতের প্রবর্তকও বলা হয় বাপ্পি লাহিড়িকে।
পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে ১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর তার জন্ম। তার আসল নাম অলোকেশ লাহিড়ী। তার মা-বাবা দুজনেই ছিলেন সংগীতশিল্পী।
এমআই/এলএ/এমএস