যে ১০ যুক্তিতে জামিন চাইবেন শাহরুখপুত্র
নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মাদককাণ্ডে গ্রেফতার শাহরুখপুত্র আরিয়ান। আগামী মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) তার মামলার শুনানি হওয়ার কথা আছে। এদিন আদালতের কাছে আরিয়ান নিজের পক্ষে ১০টি যুক্তি দাঁড় করেছেন জামিন পাওয়ার।
তার যুক্তির মধ্যে রয়েছে- আমির ফার্নিচারওয়ালা থেকে শুরু করে ওই প্রমোদতরীর কোনো আয়োজকের সঙ্গে রেভ পার্টি বা পার্টিতে মাদক সেবন নিয়ে কোনো কথা হয়নি আরিয়ানের।
গ্রেফতার মেমোয় কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের উল্লেখ নেই। বরং ৮(সি), ২০(বি), ২৭ লঙ্ঘন করার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। পররে রিমান্ডের সময় সেকশন ২৯ যোগ করা হয়।
আরিয়ানের কাছ থেকে কোনো মাদক পাওয়া যায়নি।
ওই মামলায় গ্রেফতার আরবাজ মার্চেন্ট ও অচিত কুমার ছাড়া কারো সঙ্গে কোনো পরিচয়ও নেই আরিয়ানের। তাই তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া কোনো মাদকের জন্য আরিয়ানকে দোষী করা যায় না।
আরবাজের সঙ্গেও পার্টিতে যাওয়ার আগে মাদক নিয়ে কথা হয়েছে আরিয়ানের, এমন কোনো নিশ্চিত প্রমাণও এনসিবির কাছে নেই।
এনসিবি আরিয়ানের মামলায় বারবার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কথা উল্লেখ করেছে। আরিয়ান তার জামিনের আবেদনে জানিয়েছেন, যে সমস্ত চ্যাটের কথা উল্লেখ করা হচ্ছে তা এই ঘটনার অনেক আগের। পাশাপাশি আরিয়ানের দাবি তার চ্যাটের ভুল অর্থ বের করছে এনসিবি।
আরিয়ানের মামলা সেকশন ৩৭-র আওতায় পড়ে না। যে আইনে প্রচুর পরিমাণে ড্রাগস পাওয়া গেলে বিপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করতে পারেন।
আরিয়ানের মামলায় এনসিবির পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে ছাড়া পেলে আরিয়ান প্রমাণ নষ্ট করে দিতে পারেন। এরও বিরোধিতা করেন শাহরুখপুত্র।
আরিয়ানের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, তার কাছ থেকে কোনো মাদক মেলেনি। তাই এখানেই সব থেমে যাওয়া উচিত। কিন্তু তা না করে আরবাজের কাছ থেকে পাওয়া মাদক আরিয়ানের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে।
২০০১ সালে এনডিপিএস অ্যাক্ট (NDPS Act) এ বেশ কিছু সংশোধন আনা হয়েছে যাতে তা সমাজ সংস্কারমূলক কাজে ব্যবহার করা যায়, নাকি প্রতিশোধ নেওয়ার কাজে। তাই আরিয়ানকে জামিন না দেওয়ার অর্থ আইন সংশোধনের উদ্দেশ্যে আলো না দেওয়া।
গত ২ অক্টোবর মুম্বাই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরী থেকে আরিয়ানসহ আটজনকে আটক করে এনসিবি। কয়েক ঘণ্টা জেরার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকেই কারাবন্দি অবস্থায় আছেন আরিয়ান।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
ইএ/এমএস