এবার বলিউডের নতুন সিনেমা মুক্তি পাবে বাংলাদেশে
আগেও বেশ কয়েকবার এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পুরনো হিন্দি সিনেমা মুক্তিও পেয়েছে। তবে চলচ্চিত্রের নানা সংগঠনের নেতাকর্মীদের আন্দোলনের মুখে সেটি খুব একটা সফল হতে পারেনি। আবারও শোনা যাচ্ছে বলিউডের সিনেমা মুক্তি পাবে বাংলাদেশের সিনেমা হলগুলোতে।
ভারতে মুক্তির দিনেই বাংলাদেশে মুক্তি দেয়া হবে বলিউডের সিনেমা। সাফটা চুক্তিকে কিছুটা ‘আপগ্রেড’ করে এমন সিদ্ধান্তের দিকেই হাঁটছেন বাংলাদেশের হল মালিকরা। এই তথ্য জানালেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সহসভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন।
তিনি গণমাধ্যমকে এও জানান, ‘ দেশীয় প্রযোজকদেরও বলিউডের সিনেমা মুক্তির ব্যাপারে সমর্থন রয়েছে।’ মূলত সিনেমাহীন হয়ে পড়া ইন্ডাস্ট্রিতে হল ব্যবসা বাঁচিয়ে রাখতেই সবাই এই সিদ্ধান্তে মত দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
মিয়া আলাউদ্দিন বলেন, ‘করোনার আগেও আমাদের এখানে ভালো সিনেমার সংকট ছিলো। আর করোনার পর তো অবস্থা আরও খারাপ। অনেক আশা করে হল চালু করা হলো। কিন্তু কেউই সিনেমা মুক্তি দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। সারা বিশ্বেই এখন করোনাকে মোকাবিলা করেই হলে সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। কিন্তু আমাদের এখানে সবাই নির্মাণ শেষ করেও ঘরে সাজিয়ে রেখেছেন।
তারা ভাবছেন না সিনেমা না থাকলে হল চলবে কি করে? তাই অবস্থা বিবেচনা করে বলিউডের সিনেমা আমদানির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমাদের কনটেন্ট সংকট, এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। আমরা সারা দেশের হল মালিকরা একমত হয়েছি, আমরা ভারতের ছবি নিয়ে আসব।’
এর আগে পুরনো হিন্দি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে সাফটা চুক্তিতে। তবে এবার হল মালিকরা চাইছেন ভারতের বলিউড বা কলকাতার সিনেমা সেদেশে যেদিন মুক্তি পাবে বাংলাদেশেও একই দিনে মুক্তি দেয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
এই পরিকল্পনার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন বাংলাদেশ হল মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদও। তিনি বলেন, ‘হল বাঁচাতে হলে ভালো কন্টেন্ট লাগবেই। বিশ্বের নামি দামি সব সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে করোনায়। আমাদের এখানেও অবস্থা খারাপ। ভারতীয় নতুন সিনেমা এনে পরীক্ষামূলক দেখা যেতেই পারে হল বাঁচাতে পারি কি না। যদি ইতিবাচক সাড়া না মেলে দর্শকের কাছ থেকে তাহলে এমনিতেই বলিউডের সিনেমা মুক্তি দেয়া বন্ধ হয়ে যাবে।’
মিয়া আলাউদ্দিন বলেন, সিনেমাগুলো আমদানি করবেন প্রযোজক সমিতির সদস্যরা। এই অনুমোদন প্রযোজকদের বাইরে কাউকে দেওয়া হবে না। তাহলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। এ বিষয়ে সবকিছু চূড়ান্ত হলে নীতিমালা, আমদানি ও মুক্তির পদ্ধতি, টিকিটের মূল্য নির্ধারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে।
এলএ/এমকেএইচ