আমেরিকায় কমলা হ্যারিসের জয়ের পেছনে সোনাক্ষির পরিবার!

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:১৮ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০২০

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে কমলা হ্যারিসের নাম আলোচনার শীর্ষভাগে উঠে আসে ২০১৯ সালের শুরুর দিকে যখন তিনি মার্কিন সিনেটর থেকে সোজা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার প্রতিযোগিতায় নাম লেখান। কৃষ্ণাঙ্গ, তরুণ ও উদীয়মান রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি ছিলেন উদারপন্থীদের কাছে সেরা পছন্দ। মনোনয়নের প্রাথমিক লড়াইয়ে সাধারণ প্রতিযোগী হিসেবে নামলেও অল্প সময়ের মধ্যেই প্রথম সারিতে চলে আসেন কমলা হ্যারিস।

বছরের শেষভাগে দেখা যায় একমাত্র আফ্রিকান-আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে ডেমোক্রেট প্রার্থী হওয়ার লড়াইয়ে টিকে রয়েছেন এ সিনেটর। সেই তিনি বিশ্বজয় করেছেন আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম মহীলা ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে। চারদিকে এখন কমলারই জয়জয়কার।

কমলার মা ভারতীয়। সেই দিক থেকে তার প্রতি ভারতীয়দের আবেগটা অনেক বেশি। নির্বাচনের পর মার্কিন মুলুকের মতোই উচ্ছ্বসিত ভারতের মানুষ। ১৩০ কোটির ভারতবর্ষের থেকেও অবশ্য বেশি উচ্ছ্বসিত অভিনেত্রী সোনাক্ষি সিনহার বাবা শত্রুঘ্ন সিনহা।

কারণ কমলার জয়ে তার পরিবারের সদস্যারও অবদান রয়েছে। নিজের টুইটার প্রোফাইলে সেকথা জানিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এই অভিনেতা তথা কংগ্রেস নেতা।

রোববার সারা বিশ্বের মতো জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের জয়ে দু’জনকেই শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেছিলেন শত্রুঘ্ন। পাশাপাশি টুইটে বর্ষীয়ান অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ লেখেন, ‘আমাদের দেশের কন্যা কমলা ও তাঁর অনুগামীদের দুর্দান্ত জয়ের জন্য ক্রমাগত প্রচার চালিয়ে যাওয়া আমাদের মেয়ে প্রীতারও সাধুবাদ প্রাপ্য। খুব ভাল কাজ করেছ! ভাল থেকো।’

শত্রুঘ্নের এই টুইটের পরেই নেটিজেনদের অনেকে জানতে চান। কে এই প্রীতা? কী তার পরিচয়? নিজের টুইটে সেই প্রশ্নেরও উত্তর দেন শত্রুঘ্ন সিনহা। আগের টুইটের প্রেক্ষিতেই বর্ষীয়ান বলিউড অভিনেতা আবার লেখেন, ‘ভাইঝি মেয়েরই মতো হয়। প্রীতা সিনহা আমার বড় ভাই ডা. লক্ষ্মণ সিনহার মেয়ে। আর সে ও তার দল কমলা হ্যারিসের খুবই ঘনিষ্ঠ। মার্কিন নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত ভারতীয়দের খুবই পছন্দের পাত্রী কমলা হ্যারিস।’

অনেকে অবশ্য এই টুইট নিয়ে হাসাহাসিও করেছেন।

এলএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।