যৌন হেনস্তা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অনুরাগ কাশ্যপ, কঙ্গনাকে সন্দেহ
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যু, তার জন্য রিয়া চক্রবর্তীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো এবং মাদক যোগ নিয়ে বলিউডের দিকে আঙুল তোলায় বেশ কিছু দিন ধরেই সোশাল মিডিয়ায় অনুরাগ কাশ্যপ ও কঙ্গনা রানাউতের মধ্যে বিবাদ চলছিল। বরাবর বিজেপি বিরোধী বলে পরিচিত অনুরাগ শাসক দলের সঙ্গে দহরম মহরম নিয়ে কঙ্গনাকে কটাক্ষও করেন।
দু’পক্ষের মধ্যে বাগ-বিতণ্ডা চলছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। তার সঙ্গে লেগেছিল রাজনীতির রং। অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের সঙ্গে পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের বিরোধ এবার চরম আকার ধারণ করল। যৌন হেনস্থার অভিযোগ ঘিরে ইতিমধ্যেই অনুরাগকে গ্রেফতার করা হোক এমন দাবি তুলেছেন কঙ্গনা।
কিন্তু এই বিতর্কের জন্য এবার কঙ্গনাকেই পাল্টা কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন অনুরাগ। তার অভিযোগ, তাকে চুপ করানোর জন্যই পায়েল ঘোষকে দিয়ে মিথ্যে বলানো হচ্ছে। সরাসরি কারও নাম উল্লেখ করেননি অনুরাগ। তবে তিনি যে কঙ্গনাকেই নিশানা করেছেন সেটা অনুমান করে নিচ্ছেন সবাই।
শনিবার অনুরাগের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন বাঙালি অভিনেত্রী পায়েল ঘোষ। সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তার দফতরকে ট্যাগ করে অনুরাগ তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। বিষয়টি সামনে আসতেই মুহূর্তের মধ্যে মাঠে নেমে পড়েন কঙ্গনা রানাউত। অনুরাগের গ্রেফতারির দাবি তোলেন তিনি।
তা নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে কোনো মন্তব্য করেননি অনুরাগ। কিন্তু শনিবার মধ্যরাতের পর থেকে পর পর বেশ কয়েকটি টুইট করে যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করে দেন তিনি। জানিয়ে দেন, তার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্র। সেখানে নাম না করেও কঙ্গনার সমালোচনা করেন তিনি।
এ দিন অনুরাগ টুইটারে লেখেন, ‘দারুণ ব্যাপার যে আমাকে চুপ করানোর চেষ্টা করতে এত সময় লেগে গেল। সে না হয় ঠিক আছে। কিন্তু আমাকে চুপ করানোর জন্য এত মিথ্যে বলতে হচ্ছিল যে নারী হয়ে অন্য এক নারীকে সেই মিথ্যেয় শামিল করতে হল। ম্যাডাম, অন্তত একটু শালীনতা বজায় রাখুন। আমি শুধু এইটুকুই বলব যে, যা যা অভিযোগ আনা হয়েছে, সব ভিত্তিহীন। আমাকে কালিমালিপ্ত করতে গিয়ে আমার কলাকুশলী, এমনকি বচ্চন পরিবারকে টেনে আনাটা মোটেই বুদ্ধির কাজ হয়নি।’
অনুরাগ আরও লেখেন, ‘হ্যাঁ, দু’বার বিয়ে করেছি আমি। তা যদি অপরাধ হয়, তাহলে অপরাধ স্বীকার করছি। অনেকবার প্রেমেও পড়েছি, তা-ও মেনে নিচ্ছি। কিন্তু আমার প্রথম স্ত্রী হোন বা দ্বিতীয়, প্রেমিকা অথবা কোনো অভিনেত্রী, যে মহিলাদের নিয়ে কাজ করি তারা অথবা অন্য যে কোনো মহিলা, যার সঙ্গে নিভৃতে দেখা হয় বা জনসমক্ষে, কখনও কারও সঙ্গে অশালীন আচরণ করিনি এবং এই ধরনের আচরণ কোনোভাবে সমর্থনও করি না। এর পর যাই হোক না কেন, শেষ দেখে ছাড়ব।’
এলএ/পিআর