প্রেমিকার বাবা ও মহেশ ভাটের পরিকল্পনাতেই খুন হলেন সুশান্ত!

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪০ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০২০

একের পর এক নাম উঠে আসছে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পেছনে। শুরুতে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো দাবি করেছিলো ক্যারিয়ারের হতাশা থেকেই আত্মঘাতি হয়েছেন এই অভিনেতা। এরপর ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকে চিত্র। সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে দানা বাঁধে সন্দেহ। এটি কি সত্যি আত্মহত্যা নাকি খুন সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

প্রথমেই অভিযোগ আনা হয় সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর উপর। এরপর একে একে রিয়ার ভাই, সুশান্তের বন্ধু, বলিউডে স্বজনপ্রীতিসহ অনেক কিছুর উপরই দায় চাপানো হয় সুশান্তের মৃত্যুর। এবার অভিনেতার জিম ইন্সট্রাক্টর সুনীল শুক্ল জানিয়েছেন, প্রেমিকা রিয়ার বাবা ও ‘সুগার ড্যাডি’ মহেশ ভাটের পরিকল্পনাতেই খুন হয়েছেন সুশান্ত।

টাইমস নাও-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘রিয়া চক্রবর্তীর দুই বাবাই সুশান্ত হত্যার জাল বুনেছিলেন।’

সুনীল তার বক্তব্যের সপক্ষে বলেন, ‘রিয়ার প্রথম বাবা চিকিৎসক ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী অন্যদিকে রিয়ার ‘সুগার ড্যাডি’ মহেশ ভাট। এ দুজনে সুশান্তকে হত্যার জাল বিছিয়েছেন। রিয়ার বাবা নিয়মিত সুশান্তকে ওষুধ দিতেন। এমনকি ৮ জুন রিয়া সুশান্তের বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পরেও কেউ সুশান্তকে রোজ ওষুধ দিতেন। তখন তো রান্নার লোক নীরজ, সিদ্ধার্থ পিঠানি আর পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্ত বাড়িতে থাকত। তাহলে ওষুধ দিত কে?’

এমন অনেক প্রশ্নই তৈরি হচ্ছে, যার সমাধান খুঁজছে সিবিআই। সুনীল আরও জানান সুশান্তের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। সুশান্ত জিম করতেন আর মাল্টিভিটামিন খেতেন। সুশান্তের মৃত্যু যে সাধারণ নয়, এ বিষয়ে তিনি নিশ্চিত।

এর মধ্যে সিবিআইয়ের একটি দল মুম্বাইয়ের কুপার হাসপাতাল যায়। এখানেই সুশান্তের দেহের ময়না-তদন্ত হয়েছিল। হাসপাতালের ডিন এবং যে ক’জন চিকিৎসক ময়না-তদন্ত করেছিলেন তাদের সকলের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।

অন্যদিকে সুশান্তের এক ভাই এবং বিজেপি নেতা বাবলু অভিযোগ করেন, সুশান্তের মৃত্যুর পেছনে কিছু ডাক্তারও জড়িত আছেন। তাদের আরও অভিযোগ, সুশান্তের দুই কাছের বন্ধু সিদ্ধার্থ এবং সন্দীপও ‘চক্রান্তে’ জড়িত।

এলএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।