টারজান সিনেমার সেই বিস্ময়কর গাড়িটি এখন কোথায়?

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০০ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০২০

‘টারজান : দ্য ওয়ান্ডার কার’, যখনই আপনি এই নামটি শোনেন তখন আপনার মাথায় কি আসে? অবশ্যই ২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া অজয় দেবগনের সিনেমার সেই গাড়িটির কথা মনে পড়ে। ছবিটি যদিও সফলতা পায়নি কিন্তু এই সিনেমায় ব্যবহার করা বিস্ময়কর গাড়িটি আলোচনায় এসেছিলো।

২০০৪ সালে আব্বাস-মস্তান পরিচালিত ‘টারজান : দ্য ওয়ান্ডার কার’ হিন্দি সিনেমাটি তখন নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ১৪ কোটি রুপি। সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে ছিলেন অজয় দেবগন, আয়েশা টাকিয়া, বৎসল শেঠসহ ফরিদা জালাল, শক্তি কাপুর প্রমুখ।

১৬ বছর হয়ে গেলো সেই ছবি মুক্তি পেয়েছে। এই দীর্ঘ সময় পর জানা গেলো মুম্বাইয়ের একটি গ্যারেজে
সেই গাড়িটি রাখা আছে। বেশ কিছুদিন আগে একজন ফেসবুক ইউজার এই গাড়িটি খুঁজে বের করেন। তার পোস্ট করা ছবি দেখে নিশ্চিত হওয়া যায় সিনেমায় যে গাড়িটি দেখানো হয়েছিল এটাই সেটি।

গাড়িটি এখন আবর্জনায় পড়ে রয়েছে। যখন সেই ব্যক্তি গাড়িটি দেখতে পান ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করে দেন। এরপর ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হয়ে যায়।

সিনেমার কাহিনী এই গাড়িকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছিল। এই গাড়িটি ১৯৯১ সালে টয়োটা এমআর ২ মডেলের। একে তুলনা করা হতো ২০০৪ সালের মিত্সুবিশি Eclipse এবং ফেরার ৩৪৮-এর সঙ্গে। মিডিয়া রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে এই গাড়ি বিখ্যাত ডিজাইনার দিলিপ ছাবড়িয়া ডিজাইন করেছিলেন এবং এটি সম্পূর্ণ করার জন্য মোট আট মাস সময় লেগেছিল।

দিলিপ ছাবড়িয়া এই টারজান গাড়িটি নির্মাণের আগে ২০০২ সালে আরও একটি গাড়ি নির্মাণ করেন। যেটি দেখলে অনেকটা টারজানের মতোই মনে হবে। মূলত টারজান গাড়িটি সিনেমায় দেখানোর মূল উদেশ্য ছিল বাজারে গাড়িটি লঞ্চ করার আগে বড় আয়োজনে প্রমোশন। কিন্তু সিনেমা ফ্লপ হওয়ায় বাজারে এ মডেলের গাড়ি আর লঞ্চ করা হয়নি।

তখন এই গাড়িটির মূল্য ছিল ২ কোটি টাকা। কিন্তু কোনো ক্রেতাই এই মডেলের জন্য আগ্রহী ছিলেন না। ২০০৬ সালে ৩৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু সেটাও সম্ভব হয়নি। বর্তমানে তাই টারজান ছবির সেই গাড়ি আবর্জনাতেই ঠাঁই পেয়েছে।

এলএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।