দীপিকার মালতি লুকের ভিডিও ফাঁস
অ্যাসিড আক্রান্ত হয়ে লড়ে যাওয়া এক সাহসী নারীর নাম লক্ষ্মী আগরওয়াল। অ্যাসিড হামলায় তার সৌন্দর্য এক নিমেষে ম্লান হয়ে যায়। ঝলসে যায় মুখের ৭০ শতাংশ। কদাকারে রূপ নেয় মুখমণ্ডল।
‘ছপাক’-এ লক্ষ্মী আগরওয়ালের ভূমিকায় মালতি নামে ধরা দিয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন। এজন্য তাকে আশ্রয় নিতে হয়েছিল প্রস্থেটিক মেকআপের।
বক্স অফিসে ‘ছপাক’ সেভাবে সাফল্যের মুখ না দেখতে পারলেও দীপিকার অভিনয় মন কেড়েছে দর্শকদের। সিনেমা বিশ্লেষকরা বলছেন, দীপিকার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ছবি ছপাক।
মালতি রূপে ক্যামেরার সামনে ধরা দিতে অবশ্য দীপিকাকেও কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি। হোমওয়ার্কের অংশ হিসেবে অ্যাসিড আক্রান্ত যোদ্ধাদের সঙ্গে সময় কাটাতে হয়েছে রীতিমতো। শুটিংয়ের দিনগুলোতেও মেকআপ ভ্যানে দীপিকাকে বসে থাকতে হত ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
অ্যাসিড আক্রান্ত নারীর লুক নিয়ে আসা মোটেই সহজ ছিল না দীপিকার জন্য। তবে সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন জনপ্রিয় প্রস্থেটিক মেকআপ শিল্পী ক্লোভার উটন। তার নিপুণ হাতের কাজ বদলে দিয়েছে দীপিকার চেহারা।
জানা গেছে, মালতির লুক আনতে মেকআপে সময় লেগে যেত প্রায় ৫ ঘণ্টা। তবে পরিচালক মেঘনাও দমে যাওয়ার পাত্র ছিলেন না। তিনি যে বেশ পারফেকশনিস্ট, তা অল্পবিস্তর ইন্ডাস্ট্রির সবাই জানেন। তাই মেঘনার বক্তব্য ছিল, ‘আমি চেয়েছিলাম (ঈশ্বর না করুন) দীপিকার সঙ্গে যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটত, তাহলে ওকে যেমন দেখতে লাগত, ঠিক তেমনই লাগুক ওকে।’
ক্যামেরা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, একটা সময়ে দীপিকার নাক-মুখ ঢেকে দেয়া হয়েছিল প্লাস্টার অব প্যারিসে। আর দীপিকার তো ক্লস্ট্রোফোবিয়া (ভয় পেয়ে সৃষ্ট এক ধরনের মানসিক রোগ) রয়েছে। অতঃপর একসময়ে অভিনেত্রীর দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল।
কীভাবে দীপিকা মালতি হয়ে উঠলেন, সেই ভিডিও সম্প্রতি প্রকাশ করেছে প্রযোজনা সংস্থা ফক্স স্টার। দেখে নিন সেই ভিডিও।
এসআর/পিআর