অভিনেত্রী মৌসুমীর বিরুদ্ধে জামাইয়ের মামলা

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪৪ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯

সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। বয়সের কারণে বর্তমানে অভিনয় থেকে দূরে সরে আছেন। পরিবারকে সময় দিচ্ছেন। সম্প্রতি তার মেয়ের মৃত্যুর হয়েছে।

মৌসুমীর বড় কন্যা পায়েল ডিকি সিনহা মারা যাওযার শোকের রেশ কাটতে না কাটতেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন মেয়ের জামাই ডিকি সিনহা।

‘স্পটবয়’ ম্যাগাজিনকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ডিকি জানান, ‘মৃত্যুর পর পায়েলের মুখও দেখেননি মৌসুমি। পায়েলের শেষকৃত্য অথবা শ্রাদ্ধানুষ্ঠানেও দেখা যায়নি তাকে। অথচ তার মেয়ের মৃত্যুর জন্য তিনি অনবরত আমাকে দায়ী করে যাচ্ছেন।’

ত্রিবেণীতে পায়েলের অস্থি বিসর্জন করে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন ডিকি সিনহা, এমনটাও জানা গেল। আগামী মাসেই মৌসুমীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা হতে পারে।

১৩ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় মৌসুমীর পায়েলের। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন পায়েল। ছোট থেকেই ডায়াবেটিক ছিলেন মৌসুমী কন্যা৷ ২০১৭ সালে পায়েলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন পায়েলের স্বামী ডিকি সিনহা।

যদিও বাড়িতে আনার পর থেকে পায়েলের মানসিক চিকিতসা বন্ধ ছিল বলে খবর পাওয়া যায়। হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনার পর আচমকাই ১৩ ডিসেম্বর মাঝ রাতে মৃত্য়ু হয় পায়েলের।

এদিকে বাড়িতে ফেরানোর পর পায়েলের চিকিৎসা করানো হয়নি, তার মানসিক চিকিৎসাও বন্ধ ছিল বলে একাধিকবার অভিযোগ করেন মৌসুমী। এরপরই পায়েলের স্বামী এবং তার বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে মুমাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মৌসুমী। সেই থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। পায়েলের মৃত্যুর পর দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততা চরমে পৌঁছেছে।

সম্প্রতি পায়েলের স্বামী ডিকি সিনহা অভিযোগ করেন, মৃত্যুর পর মেয়েকে শেষবারের জন্য দেখতেও আসেননি মৌসুমী শেষ যাত্রায় পায়েলকে দেখতে আসেন তার বাবা এবং বোন।

ডিকি সিনহা আরও জানান, স্ত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। ৪০ দিন পর ত্রিবেণীতে পায়েলের অস্থি বিসর্জন করা হবে। অস্থি বিসর্জনের পরই মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হবেন ডিকি সিনহা।

এলএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।