মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা তরুণী এখন জনপ্রিয় অভিনেত্রী
বয়সের তুলনায় সংগ্রামটা করেছেন তিনি অনেক বেশি। এটা যেমন ক্যারিয়ারের জন্য তেমনি বেঁচে থাকার জন্যও। মাত্র দুই বছরের ক্যারিয়ার তার। টেলিজগতে জনপ্রিয়মুখ হয়ে উঠেছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা।
শুধু অভিনেত্রী হিসেবে নন, তার অসম্ভব মনের জোর ও ক্যান্সারের বিরুদ্ধে তার লড়াকু মনোভাবের জন্যেও তিনি সবার প্রিয়। সিনিয়ররা আদর করে, জুনিয়ররা ভালোবেসে জড়িয়ে রাখে। অনেকের কাছে তিনি অনুপ্রেরণাও।
মুর্শিদাবাদের ছোট শহর থেকে কলকাতায় এসেছিলেন পড়াশোনা করতে। তার পরে কীভাবে হয়ে উঠলেন অভিনেত্রী, সেই গল্প ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় জানিয়েছেন ঐন্দ্রিলা। আর সেটা জানাতে গিয়েই বললেন মৃত্যুকে জয় করে ফেরা সেই করুণ কাহিনির কথাও।
ঐন্দ্রিলা জানান, ২০১৫ সালে তার ক্যানসার ধরা পড়ে। ক্যানসারের ট্রিটমেন্টটা অসম্ভব পেনফুল। সেটা মুখে প্রকাশ করতে পারেন না তিনি। তারউপর ছিলো বোন ম্যারো টেস্ট, বায়োপসি টেস্ট। আর কেমোর যন্ত্রণা তো ছিলোই। সেটা ভয়াবহ। এসব কিছু জীবনটাকে দুর্বিষহ করে তুলেছিলো এই অভিনেত্রীর।
ঐন্দ্রিলার ভাষ্যে, ‘অনেকে এই কথাগুলো বলতে পছন্দ করে না। বা বলতে চায় না হয়তো, পুরনো মেমরিগুলো চলে আসে বলে। কিন্তু আমার মনে হয় যদি আমার কথা শুনে, এখন যাঁরা সাফার করছেন, তাদের ফ্যামিলি বা তারা একটু হলেও সাহস পান, তবে সেটা আমার কাছে একটা বড় একটা অ্যাচিভমেন্ট।
যারা ফিল করেছে বা সামনে থেকে দেখেছে তারা ছাড়া বোঝা সম্ভব নয় ক্যান্সারের ভয়াবহতা। কিন্তু একটা জিনিস, খুব হেল্প করেছে। সেটা হলো মনের জোর। ফ্যামিলি সাপোর্ট তো সব সময়েই পেয়েছি। তবে সঙ্গে ছিলো মনের জোর। আমি কখনো ভাবিনি যে, আমার জীবন এখন শেষ।
যেটা হয় সাধারণত, ক্যানসার নামটা শুনলেই তো মনে হয় এখানেই যেন জীবনটা ফুলস্টপ হয়ে যাবে। কিন্তু এই ভাবনাগুলো কিন্তু শারীরিক অবস্থাকে আরও খারাপ করিয়ে দেয়। মনের জোরটা রাখাটা খুব ইম্পর্ট্যান্ট। আমি সেটা পেরেছিলাম।’
কলকাতার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘ঝুমুর’ দিয়ে আলোচনায় আসেন মিষ্টি হাসির ঐন্দ্রিলা। এরপর তিনি জনপ্রিয়তা পান ‘জীবনজ্যোতি’ সিরিয়ালে। বর্তমানে তার অভিনীত ‘জিয়নকাঠি’ও তুমুল হিট দুই বাংলার সিরিয়ালপ্রেমীদের কাছে। এখানে জাহ্নবী চরিত্রে অভিনয় করছেন ঐন্দ্রিলা।
এলএ/এমকেএইচ