গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে তারকাদের রাজনীতি করানো হচ্ছে
জনপ্রিয় তারকাদের রাজনীতিতে নাম লেখানোর ঘটনা নতুন নয়। অনেক তারকা রাজনীতিতে এসেও সফল হয়েছেন। বিশেষ করে কলকাতার তারকাদের বেশ কদর এখন দিল্লির সংসদে। দেব, নুসরাত, মিমি পশ্চিমবঙ্গের আসন থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করে সংসদে গেছে।
সবই ঠিক আছে, এবার শোনা গেলো অন্যরকম কথা। গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে নাকি কলকাতার বড় বড় তারকাদের দলে ভেড়াচ্ছে বিজেপি। সম্প্রতি এমন অভিযোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এরই মধ্যে মমতা রিমঝিম মিত্রসহ একাধিক তারকা দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
মমতার ইঙ্গিত দিয়েছেন চিটফান্ড কাণ্ডে গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণাসহ একাধিক তারকার উপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে। মমতা সম্প্রতি কলকাতার ধর্মতলার এক জনসভায় বলেন, ‘শতাব্দী আমাকে বলছিল, জানো দিদি, আমাকে আবার ইডি ডেকেছে। শতাব্দীকে একা নয়, প্রসেনজিৎ-, ঋতুপর্ণাকেও ডেকেছে ইডি।
আরও অনেককেই ডাকবে। ডেকেই বলছে, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ কর। বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে গ্রেপ্তার করা হবে না।’
রোজভ্যালি মামলায় ইতিমধ্যেই প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অন্যদিকে, সারদাকাণ্ডে অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কেও তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রোজভ্যালি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা তাপস পাল। চিটফান্ড মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
এ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ বলেন, ‘এটা খুবই চিন্তাজনক। চ্যালেঞ্জ করে বলছি, যদি এমন কেউ বলে থাকেন, তার নাম বলুন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কতটা হতাশ হলে সিবিআইকে বদনাম করার চেষ্টা করতে পারে কেউ।’
এমএবি/এলএ/জেআইএম