শাহরুখকে রুপালি পর্দায় নিয়ে আসা সেই পরিচালকের মৃত্যু

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:২২ পিএম, ১৪ এপ্রিল ২০১৯

অভিনয় করার স্বপ্ন নিয়ে মুম্বাইয়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে তিনি আজকের মজবুত অবস্থানে এসে পৌঁছেছেন। তার এই দীর্ঘ পথচলায় তিনি স্বীকার করেন অনেক মানুষের অবদানকে।

তেমনি একজন রাজ কুমার। যিনি শাহরুখের জীবনের প্রথম রুপালি পর্দার কাজটির নির্মাতা ছিলেন। শাহরুখের রুপালি পর্দায় যাত্রা হয় টেলিভিশন শো ফৌজি দিয়ে। তারই পরিচালক রাজ কুমার কাপুর।

গেল বুধবার না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন এই প্রবীন পরিচালক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। বার্ধ্যক্যজনিত রোগ ভোগের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

তার কন্যা ঋতম্ভরার বরাতে জানা গেছে, ‘আমার বাবা গত বুধবার রাত ১০টা ১০ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বেশ কিছু দিন ধরেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। কিন্তু তার মৃত্যু খুবই আশ্চর্যের। তার স্বাস্থ্য কিন্তু ভালই ছিল। মৃত্যুকালে কষ্ট পেতে হয়নি তাকে।’

বৃহস্পতিবার রাজ কুমারের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। তার পরিবার জানিয়েছে সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর ওসোর শিষ্য হন রাজ। তারপর মুম্বাই পাড়ি দেন রূপালি পর্দায় কাজের জন্য।

বহু ছবির প্রযোজনা করেছেন, বহু পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। বিজ্ঞাপনেও অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে। কিছু বছর আগে ‘যখন শিব হাসে’ নামে একটি উপন্যাসও লেখেন এই প্রবীন পরিচালক।

শাহরুখ খানকে নিয়ে সমর খানের বই ‘এসআরকে - একটি ২৫ বছরের জীবন’-তে তিনি একটি অধ্যায় লিখেছিলেন। ‘দ্য ম্যান হু মেড ফৌজি’র জন্য তার চিন্তা-ভাবনা ব্যক্ত করেছিলেন তিনি।

বিনয় ভরা সেই লেখায় তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি একজন অভিনেতা। আমি ৩টি যুদ্ধে লড়েছি। কিন্তু মানুষ আমাকে মনে রেখেছেন আমি ২০ বছর আগে শাহরুখ খানকে পর্দায় আনতে সক্ষম হয়েছি বলে। আমার ভাবতে খুব অবাক লাগে যে, আমার এতে কোনো ভূমিকাই নেই।

শাহরুখের বাবা-মাই তাকে শাহরুখ বানিয়েছেন, আমি নই। আমি তাকে সুপারস্টার বানাইনি। আমি শুধুমাত্র একজন সঠিক মানুষকে বেছে নিয়েছিলাম। তার নিজের জীবন সে নিজেই গড়ে নিয়েছে।’

এলএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।