দাদা সাহেব ফালকে ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:০১ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৯

আসছে মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হবে ভারতের সবচেয়ে বড় ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ‘নবম দাদা সাহেব ফালকে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এখানে প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের তরুণ নির্মাতা কিশোর মাহমুদের ‘গ্রে লাইট’ নামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য ও চিত্রগ্রহন করেছেন নির্মাতা কিশোর নিজেই।

এতে বাবা মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রণব ঘোষ ও শান্ত। বাবা মেয়ে দুজনই থিয়েটার কর্মী। ২১ মিনিটের স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটিতে ফুটে উঠেছে এক অসহায় বাবা-মেয়ের গল্প।

কিশোর মাহমুদ বলেন, ‘একটি সত্য ঘটনা নিয়ে নির্মাণ করেছি চলচ্চিত্রটি। প্রায় দুই বছর আগে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বেলাইত গ্রামে ১০ বছর বয়সী এক স্কুলশিক্ষাথী ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। পরে সেই মেয়ে ও তার বাবা একসঙ্গে আত্মহত্যা করে। এই কাহিনীর সুত্র ধরেই এগিয়েছে চলচ্চিত্রের গল্প। এতো বড় একটি প্ল্যাটফর্মে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে বলে বেশ ভালোই লাগছে। ’

কিশোর আরও জানান, এর আগে শিলিগুড়ি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে এটি নোমিনেশন পেয়েছিল। পরে সাউথ এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, সাউফল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, সাংহাই ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও পাঠানো হয়েছে এটি। নির্মাতা আশা করেন এ ফেস্টিভ্যালগুলো থেকেও ভালো সাড়া পাবেন তিনি।

উল্লেখ্য, কিশোর মাহমুদকে সবাই সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে চেনেন। এটি তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র। তিনি পড়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায়। চার বছর ধরে সিনেমাটোগ্রাফী করেন কিশোর। এরই মধ্যে আহসান কবির লিটনের ‘প্রত্যাবর্তন’ সিনেমায় কাজ করেছেন।

রাশিদ পলাশের স্বল্প দৈর্ঘ্য সিনেমা ‘কবর’, আকিবের ‘নাইন্টিন ৮২’ তে সিনেমাটোগ্রাফী করেছেন। এ ছাড়া দীপঙ্কর দীপন, মিজানুর রহমান লাবুর নাটকে কাজ করেছেন।

প্রায় দুই লক্ষ টাকা বাজেটের স্বল্পদৈর্ঘটি প্রযোজনা করেছেন নির্মাতা নিজেই। সহযোগী প্রযোজক হিসেবে ছিলেন তাহমিনা লোপা। রাজশাহী শহরের বিভিন্ন স্থানে শুটিং হয়েছে এই চলচ্চিত্রটির। এখন ‘জার্নি টু গড’ নামের আরও একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলিচ্চিত্র নির্মাণ করছেন কিশোর মাহমুদ।

এমএবি/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।