সুশান্তের বিরুদ্ধে নায়িকাকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৩২ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০১৮

ভারতজুড়ে রাজনীতি থেকে বিনোদন, যৌন হেনস্তার বিরুদ্ধে মহিলারা সরব হয়েছেন সব ক্ষেত্রেই। #MeToo মুভমেন্টের কারণেই পদত্যাগ করতে হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এমজে আকবরকে। তার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছিলেন এক নারী।

সেই তালিকায় আছেন বলিউড অভিনেতা নানা পাটেকর, কৈলাশ খের, অলোকনাথ, সাজিদ খানের মতো তারকারাও। এরইমধ্যে অনু মালিককে একটি শোয়ের বিচারকের পদ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। অন্যরাও রয়েছেন নানা রকম হুমকিতে।

এবার #MeToo মুভমেন্টে নাম উঠে এলো বলিউডের নতুন প্রজন্মের নায়ক সুশান্ত সিং রাজপুতের। যিনি এরইমধ্যে ‘ব্যোমকেশ বক্সী’, ‘ধোনি’ চলচ্চিত্রের জন্য জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে এবার ‘কিজি অউর ম্যানি’র সহ অভিনেত্রী সঞ্জনা সাঙ্ঘি যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন।

তার দাবি, শুটিংয়ের সেটে তার সঙ্গে খুব বাজে আচরণ করছিলেন সুশান্ত। গায়ে পড়ে ফ্রেন্ডলি হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। নানা রকম ইশারা ইঙ্গিতে শারিরীক সম্পর্কের প্রস্তাব দিচ্ছিলেন। বিরক্ত হয়ে সেট ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন সঞ্জনা।

সেই অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। সঞ্জনার সঙ্গে সুশান্তের বাক্যালাপের স্ক্রিনশট পোস্ট করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সুশান্ত টুইট করে নিজেদের মধ্যে হওয়া কথাবার্তা সামনে এনেছেন। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করতে আমার একটুও ইচ্ছে করছে না। কিন্তু প্রচার পেতে শুটিংয়ের প্রথম থেকে শেষ দিন পর্যন্ত সঞ্জনার সঙ্গে এটাই হয়ে এসেছে।’

তার এই পোস্ট নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে তখন সঞ্জনা আমেরিকা থেকে ফিরে সবকিছুতে জল ঢেলে দিলেন। তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, ‘আমেরিকা থেকে ফিরে শুনছি অনেক কিছুই ঘটে গিয়েছে। আমার সঙ্গে ‘কিজি অউর ম্যানি’র সেটে কিছু হয়নি। এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলা বন্ধ করা হোক৷’

নায়িকার এই জবাবে অত্যন্ত বিরক্তি প্রকাশ করেছে সকলে। সাইবারবাসীর দাবি, #MeToo র অপব্যবাহর করেছেন তিনি। কিছু যদি নাই হয়ে থাকে তবে একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেতার নামে কেন অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। অনেকেই আবার দাবি করছেন, ভয়ভীতির মুখে নিজের অভিযোগ তুলে নিয়েছেন সঞ্জনা।

এলএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।