মনের জোর হারাননি সোনালি, হাল ছেড়েছেন ইরফান

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৫ এএম, ০৪ আগস্ট ২০১৮

ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছেন বলিউডের দুই জনপ্রিয় তারকা সোনালি বেন্দ্রে ও ইরফান খান। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সোনালি বেন্দ্রের চিকিৎসা চলছে। কেমোথেরাপি দেওয়া হচ্ছে তাকে। ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করার জন্য তার মাঝে যথেষ্ট মানসিক জোর লক্ষ করছেন চিকিত্সকেরা। আর চিকিৎসকেরা তার সাহসিকতায় ভীষণ আশাবাদি।

ইনস্টাগ্রামে সোনালি বেন্দ্রের চিকিৎসা নিয়ে তার স্বামী বলিউডের পরিচালক ও প্রযোজক গোল্ডি বহেল লিখেছেন,‘আপনাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। ওর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল আছে। চিকিত্সা শুরু হয়ে গেছে। এখনো কোনো জটিলতা হয়নি। এটা অনেক বড় জার্নি। তবে ওর চিকিৎসার শুরুটা ভালো হয়েছে। একটুও মনের জোর হারাননি সোনালী। ’

সোনালি বেন্দ্রের শরীরে হাইগ্রেড ক্যানসার ধরা পড়েছে, আর তা ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেহে। চিকিৎসকদের মতে, সোনালি বেন্দ্রের শরীরে ক্যানসার এখন চতুর্থ স্টেজে রয়েছে। আর তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ও আশঙ্কাজনক। মোটেও ভালো নয়।

ইরফান খানের অসুখটির নাম নিউরো এন্ড্রোক্রাইন ক্যান্সার। দীর্ঘ তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে লন্ডনের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এই মেধাবী অভিনেতা। বেঁচে থাকার লড়াইয়ে অদম্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। কিছু দিন আগে ইরফান বলেছিলেন, ‘আমি আমি হতাশ নই, আনন্দেই আছি।’ কিন্ত সম্প্রতি তার কথায় অন্য সুর। ইরফান বলেন,‘ জীবন যেদিকে এগিয়ে যায়, আমি সেই দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি। আমার আয়ু আর বড় জোর তিন চার মাস।’

লন্ডনে চিকিৎসারত ইরফানের শরীর ভেঙে গেছে। সংবাদ সংস্থা এপি'কে দেয়া একটি সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, ক্যান্সার তার জীবনকে এক ঝটকায় নাড়িয়ে দিয়েছে। গত ৩০ বছর ধরে যোগ করছেন, কিন্তু মনকে এখনও শান্ত করেতে পারেননি। এই মুহূর্তে তার কেমোথেরাপি চলছে। ক্যান্সার তাকে জীবনের এক কিনারায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। কেমোর চতুর্থ পর্যায় শেষ। ৬টি কেমো হবে তারপর স্ক্যান। তৃতীয় কেমোর পর স্ক্যানের রেজাল্ট পজিটিভ ছিল। ৬টি কেমোর শেষে কী রকম থাকে, সেটাই আসল।’

বলিউডে এই দুই তারকারই ভক্তের সংখ্যা অনেক। সবাই আশা করছেন এই প্রিয় দুই মানুষ আবারও সুস্থ হয়ে ফিরে আসবে তাদের মাঝে।

এমএবি/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।