শ্রীদেবীর পুরস্কার নিতে গিয়ে কাঁদলেন বনি
১৯তম ইন্টারন্যাশানাল ইণ্ডিয়ান ফিল্ম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসে বসেছিল তারকার হাট। ব্যাংককে গ্রিন কার্পেট জুড়ে ছিল কতো পারফরমেন্স। কিন্তু পুরস্কার প্রদানের সময় মন খারাপ হয়ে গেল সবার। আনন্দঘন পরিবেশ গেল পাল্টে। এবার সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন প্রায়ত নায়িকা শ্রীদেবী। স্টেজ থেকে তার নাম ঘোষণা হল কিন্ত তিনি তো নেই।
ব্যাংককের সিয়াম নিরামিট থিয়েটার নিরব। স্টেজে উঠে গিয়ে পুরস্কার গ্রহণ করলেন বনি কাপুর। তবে তার চোখে উচ্ছ্বাস অনেকটাই কম। এ বছরই স্ত্রীকে হারিয়েছেন বনি কাপুর। পুরস্কারটি হাতে নেওয়ার পরমুহূর্তেই চোখ ছলছল করে উঠল তার। ২৪ ফেব্রুয়ারির, দুবাইয়ের সেই দুর্ঘটনা আজও তাড়িয়ে বেড়ায় তাকে। একই হোটেল রুমে থেকেও বাঁচাতে পারলেন না নিজের স্ত্রীকে।
আইফার স্টেজে দাঁড়িয়ে বিষাদের ভরা গলা বলে উঠল, ‘আমি ওকে আমার জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে মিস করি।’ এরপরই আর আটকানো গেল না। মনের কান্না ধরা দিল সকলের সামনে। কেঁদে ফেললেন বনি।
বলার মত আর কিছু নেই তার কাছে। তাকে সামলাতে এগিয়ে এলেন ছেলে অর্জুন কাপুর এবং ভাই অনিল কাপুর। মাইক নিয়ে অনিল বলতে শুরু করলেন, ‘উনি একজন সত্যিকারের অসাধারণ শিল্পী ছিলেন। ওনার মতো মানুষ হয় না। এই দেশ, এই পৃথিবী, তোমার পরিবার, সবাই তোমায় প্রত্যেক মুহূর্তে মনে করছে।’
৩৫ তম জাতীয় চলচ্চিত্রে উৎসবে সেরা অভিনেত্রী হিসেবেও শ্রীদেবীকে সম্মানিত করা হয়েছে। বনি কাপুর এবং দুই মেয়ে জাহ্নবী এবং খুশি গিয়েছিলেন সেই পুরস্কার গ্রহণ করতে। শ্রীদেবীর অবর্তমানে বনি কাপুর প্রতিটি পুরস্কার গ্রহণ করতে যতটা খুশি হচ্ছেন, ততটাই দুঃখে কাতর হয়েছেন। এ বছর অস্কারেও অভিনেত্রীকে বিশেষ ট্রিবিউট দেওয়া হয়েছে। এ মুহূর্তগুলিতে বনি এবং তার পরিবার গর্বিত তো বটেই। তবে এই গর্ব, এই আনন্দ শ্রীদেবীকে সঙ্গে নিয়ে ভাগ করতে না পারার আক্ষেপ সারাজীবন রয়ে যাবে তার।
এমএবি/এলএ/জেআইএম