চার মাস ধরে তৈরি হয়েছে শহীদ কাপুরের পোশাক

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:২৭ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বলিউডের খ্যাতিমান নির্মাতা সঞ্জয়লীলা বানসালি বরাবরই ব্যতিক্রমী গল্প নিয়ে কাজ করেন। তার নির্মাণে উঠে আসে ইতিহাস-ঐতিহ্য। এজন্য সেই আবহ তৈরিতে বিশাল আয়োজন হাতে নেন তিনি। বানসালি নতুন ছবি ‘পদ্মাবতী’তে এর হচ্ছে না।

অনেকদিন ধরেই এই ছবিটি আলোচনায় রয়েছে। এর কারণ ছবির প্রেক্ষাপট। এছাড়া শুটিং ও অন্যান্য বিষয় নিয়েও বিভিন্ন সময় ছবিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে সম্প্রতি দীপিকা ও শহীদ কাপুরের লুক প্রকাশের পর ছবিটি নিয়ে দর্শকমনে আগ্রহ অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে শহীদ কাপুরের লুক নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়।

এবার জানা গেলো শহীদ কাপুরের এই লুক আনতে কি কি করতে হয়েছে। ছবিতে শহীদ কাপুরকে দেখা যাবে চতুর্দশ শতকের রাজা রতন লাল সিংয়ের চরিত্রে। সেই মহারাজার পোশাক বানাতে রীতিমতো হিমশিমে খেতে হয়েছে দুই ডিজাইনার রিম্পল ও হারপ্রীত নারুলাকে।

চিতোরের আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখেই তৈরি করেছেন পোশাক। তবে শুধু আবহাওয়াই নয়, কাপড় নিয়েও চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন তারা। রাজস্থানের বিভিন্ন জায়গা থেকে অরগানিক ফেব্রিক কিনে ২২ জন রাজস্থানী কারিগরকে দিয়ে সেই ফেব্রিকের উপর হাতের কাজ করিয়েছেন। প্রত্যেকটি ড্রেসের জন্য মসলিন কাপড়ই বেছে নিয়েছেন এই দুই ডিজাইনার।

মসলিনের উপর ব্যবহার করা হয়েছে ভেজিটেবল ডাই ও হ্যান্ড ডাই। রাজস্থানের বাসিন্দারা যেহেতু উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরতেই ভালবাসেন তাই রতন সিংয়ের পোশাকের ক্ষেত্রেও এমনকিছু উজ্জ্বল রঙ ব্যবহার করা হয়েছে। রতন সিংয়ের পোশাক ডিজাইন করার আগে রাজস্থান ও গুজরাটের বিভিন্ন মিউজিয়াম ঘুরে দেখেন রিম্পল ও হারপ্রীত। এমনকী সেখান থেকে বেশ কিছু অ্যান্টিক গয়না ও পোশাকও সংগ্রহ করেন তারা।

তবে শুধু মিউজিয়ামই নয় স্থানীয় বাজার থেকেও ব্রোচ, পিন এবং কিছু পুরনো ফেব্রিক কিনেছেন। সবমিলিয়ে শাহিদের পোশাক তৈরি করতে সময় লেগেছে প্রায় চার মাস।

দীপিকা ও শহীদের এমন চমকভরা লুক দেখার পর দর্শক আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন ছবির আরেক কেন্দ্রীয় চরিত্র আলাউদ্দিন খিলজির লুক দেখার জন্য। সেই চরিত্রে রণবীর সিং কতটা চমক দেখান, সেটাই দেখার পালা।

এনই/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।