দেশের সর্বোচ্চ চূড়ায় অভিযান নিয়ে সানভীর প্রথম বই

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১০ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

অমর একুশে বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়াগুলোয় অভিযান নিয়ে লেখা রিয়াসাদ সানভীর প্রথম বই ‘বাংলাদেশের সপ্তশৃঙ্গে’। বইটি প্রকাশ করেছে পেন্ডুলাম বুকস। বইটি পাওয়া যাবে বইমেলায় প্রকাশনীর ৫৪২-৫৪৩ নম্বর স্টলে। বইটি বইমেলার জন্য ২৫% ছাড়ে পাবেন ৩৪০ টাকায়। এ ছাড়া কাঁটাবনের কনকর্ড এম্পোরিয়ামের নিচতলায় পেন্ডুলামের অফিস থেকেও সংগ্রহ করতে পারবেন।

সাংবাদিক ও অভিযাত্রী রিয়াসাদ সানভীর বই ‘বাংলাদেশের সপ্তশৃঙ্গে’ মোট পাঁচটি অধ্যায়ে সাজানো হয়েছে। এসব অভিযানে কখনো কখনো প্রাকৃতিক বাধা অতিক্রমে তাকে নিতে হয়েছে চরমতম ঝুঁকি। আবার কখনো অভিযানে গিয়ে গহীন দুর্গম সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসীদের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বেঁচে এসেছেন ভাগ্যগুণে। সেইসব গল্প আছে বইয়ের পৃষ্ঠাজুড়ে।

পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের ভুবন ভোলানো সৌন্দর্যের সোদাগন্ধ লেপ্টে আছে বইয়ের পরতে পরতে। যে সৌন্দর্য দেশের মানুষের কাছে এখনো অজানা। দেশের সর্বোচ্চ সাতটি চূড়ার পথে অভিযানের রোমাঞ্চকর বর্ণনা দিয়ে সাজানো হয়েছে লেখাগুলো। সাতটি চূড়া মূল ফোকাস হলেও দেশের সর্বোচ্চ বারোটি চূড়ার অধিকাংশে অভিযানের কথা আছে এখানে।

আরও পড়ুন: বইমেলায় রুবাইদা গুলশানের ‘ব্যাচেলরস বাটন’ 

এ ছাড়া দেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার তিনটি লেকে (জলাশয়) যাওয়ার অভিজ্ঞতার কথাও আছে। উঠে আসবে পার্বত্য বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর দুটি জলপ্রপাতের সচিত্র বর্ণনা। পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীনে বসবাসকারী কিছু জাতিগোষ্ঠীর জীবন এবং সংস্কৃতির কথা আছে। এমনকি কোন পথে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, তা প্রত্যেকটি লেখার শেষে দেওয়া আছে।

লেখক বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীন মিয়ানমার এবং ভারত সীমান্তবর্তী অঞ্চলে দেশের অধিকাংশ বড় বড় পাহাড় চূড়াগুলো অবস্থিত। হিমালয়ের নিরিখে চূড়াগুলোর উচ্চতা অনেকটা কম হলেও ভৌগলিক অবস্থান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে দুর্গম এসব এলাকা। কখনো কখনো জীবনের ঝুঁকি নিয়েও দীর্ঘ আট বছরের চেষ্টায় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাতটি চূড়ায় অভিযান সম্পন্ন করেছি।’

এসইউ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।