একুশে বইমেলায় সৈয়দ আহসানের ‘আগুনঝরা জল’

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি যশোর
প্রকাশিত: ০৬:২৬ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

কবি ও গল্পকার সৈয়দ আহসান কবীরের আগুনঝরা জল অমর একুশে গ্রন্থমেলায় পাওয়া যাচ্ছে। ৬৪ পৃষ্ঠার বইটির প্রকাশক রৌদ্রছায়া। মেলার ৫৬৭ নম্বর স্টলে বইটি পাওয়া যাবে।

গল্পগ্রন্থটি এরমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও চলছে আলোচনা-সমালোচনা। পাঠপ্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকে।

সুমন রেজা নামের এক পাঠক বলেন, ‘বইটি যখন রকমারি ডটকমে প্রি-অর্ডারে ছিল, তখন কিনেছি। পড়েছি। খুবই ভালো লেগেছে। বইয়ের ২৩টা গল্প যেন এক একটি বারুদ, যা পাঠকের মনের গভীরে পৌঁছে চেতনার দরজায় বিস্ফারিত সত্যের মতো আবেদন রাখতে বাধ্য। সব থেকে ভালো লেগেছে এজন্য যে, প্রত্যেকটা গল্পেই কাব্যিক।’

রৌদ্রছায়া প্রকাশের স্বত্বাধিকারী আহমেদ রউফ বলেন, কবি যখন গল্প লেখেন, তখন তার লেখার কাহিনী কাব্যিকতার ছোঁয়ায় নান্দনিক হয়ে ওঠে। সৈয়দ আহসান কবীরের লেখা গল্প বরাবরই সমাজ, রাষ্ট্র, পরিবারতান্ত্রিক। তিনি এসব তন্ত্রকে শব্দমন্ত্রের জাদুতে কল্পলোকেও ভাসিয়ে নেন, বলেন কঠিন বাস্তবতার কথা। আঁকেন প্রেক্ষাপট। দেন নানা পরিকল্পনা। এজন্যই তাঁর গল্প ছুঁয়ে নেয় পাঠিকা-পাঠকের মন। তারা পড়তে গিয়ে ভেবেই নেন, এ যেন তাদেরই গল্প। এবারও ব্যতিক্রম ঘটেনি।

কবি মানবেন্দ্র সাহা বলেন, একটানে বইটি পড়ে ফেলেছি। খুব টেনেছে। কোথাও জড়তা ছিল না। মালটা, বাঙ্কু কাকুর টিস্যুকাব্যের মতো কিছু স্যাটায়ারও আছে গ্রন্থটিতে। একটি চোখের গল্প যেন পুরোটাই কবিতা।

শিশু সাহিত্যিক মিলন রহমান বলেন, গল্পগুলোতে শব্দের গাঁথুনি ভিন্ন মাত্রার দ্যোতনা সৃষ্টি করেছে। যেখানে প্রেম আছে-দ্রোহ আছে; আছে আনন্দ-বিরহ-দুঃখ। সবমিলিয়ে গল্পগুলোতে কবি এঁকেছেন সমাজবাস্তবতার চিত্র। কিন্তু তাতে রং ছড়িয়েছেন সুনিপুণ প্রত্যাশাবোধের তুলিতে।

আহমেদ রউফ জানান, রাষ্ট্র, ভালোবাসা, প্রেম, বিরহ, আনন্দ, দুঃখ, মৌনতায় ঘেরা যৌনতা, দ্রোহ- সবই ঘুরে ফিরে উঠে এসেছে কাহিনীকল্পে। চরম রসবোধে জমে উঠেছে কিছু কিছু গল্প। বেশি কিছু আবার গাম্ভীর্যে পরিপূর্ণ, পরিকল্পনার ছকে পরিপুষ্ট। রূপকে তুলে ধরা হয়েছে ঘুণে ধরা বিশ্বসমাজের নেতৃত্ব, প্রশংসিত হয়েছে কালোর মাঝে আলোর বিশেষ কিছু চরিত্র।

আগুনঝরা জলের লেখক সৈয়দ আহসান কবীর বলেন, শব্দকে ডাকি, শব্দ আসে। বাক্যে বাক্যে সেজে ওঠে। আমার কি আর এমন শক্তি আছে! বার্তা দিতে চেষ্টা করেছি মাত্র। বাকিটা পাঠিকা-পাঠক, সমালোচক, আলোচক, নিন্দুক বলতে পারবেন-কী হয়েছে, না হয়েছে। তাদের ভালোবাসা আমাকে নিরাশ করেনি কখনোই।

তিনি আরও বলেন, বইটি পৃথিবীর সব অভিশপ্তদের উৎসর্গ করা। তাদের কথা কেউ মনে রাখে না, আমি রাখলাম। তারা ভালো থাকুক, পৃথিবী সুন্দর হোক।

মিলন রহমান/এসজে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।