ফোকলোর চর্চায় উদাহরণ সৃষ্টি করেছে বাংলা একাডেমি


প্রকাশিত: ০১:৪৩ পিএম, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

‘ফোকলোর কর্মসূচিতে নিবিড় গবেষণা এবং অব্যাহত ফিল্ডওয়ার্ককে সমান গুরুত্ব দিয়ে আসছে বাংলা একাডেমি। বিগত ষাট বছরে একাডেমি দেশে ও বিদেশে একটি প্রশিক্ষিত ফোকলোর প্রজন্ম তৈরি করেছে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ফোকলোর বিষয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় সাতশ মানসম্পন্ন বই ও সংকলন প্রকাশিত হয়েছে, যা বাংলা অঞ্চলে ফোকলোর চর্চার ক্ষেত্রে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।’

শনিবার বিকেল ৪টায় অমর একুশে বইমেলার মূল মঞ্চে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

‘বাংলা একাডেমির হীরকজয়ন্তী : ফোকলোর কর্মসূচি, অতীত থেকে বর্তমান’ শীর্ষক আলোচনা সভাটির আয়োজন করে বাংলা একাডেমি। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. ফিরোজ মাহমুদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ভারতের কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক অসীমানন্দ গঙ্গোপাধ্যায়, শাহিদা খাতুন, নন্দলাল শর্মা এবং সাইফুদ্দীন চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।

এসময় বক্তারা পরিবর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে বাংলা একাডেমির আওতায় একটি স্বতন্ত্র ফোকলোর ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন বলে মত দেন।

ড. ফিরোজ মাহমুদ তার প্রবন্ধে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলা একাডেমি ফোকলোর কর্মসূচিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। দেশ-বিদেশের ফোকলোর পণ্ডিতরা একাডেমির জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ফোকলোর প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। একাডেমি ফোকলোরের সনাতনি সংজ্ঞা পরিবর্তন করে আধুনিক রীতিপদ্ধতিতে ফোকলোরকে উপস্থাপন করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি ফোকলোর সামার স্কুল, আন্তর্জাতিক ফোকলোর সম্মেলন এবং ৬৪ জেলার লোকজ সংস্কৃতির বিকাশ কর্মসূচির আওতায় গ্রন্থ প্রকাশ একাডেমির দীর্ঘমেয়াদী ফোকলোর-পরিকল্পনারই প্রকাশ। ’

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, ‘বাংলা একাডেমির অগ্রাধিকারমূলক কর্মসূচিসমূহের মধ্যে ফোকলোর কর্মসূচি অন্যতম। প্রতিষ্ঠার পর একাডেমির ফোকলোর অধ্যয়ন যে পর্যায়ে ছিল আশির দশকে তা নতুন মাত্রা লাভ করে। বিজ্ঞানভিত্তিক, আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ফোকলোরকে অনুধাবন এবং বিশ্বসভায় ফোকলোরঋদ্ধ বাংলাদেশকে বলিষ্ঠভাবে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমি এককভাবে যে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে ভবিষ্যতে আমরা তা আরো বেগবান করতে চাই।’

আলোচনা সভার পর সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে অসীম সাহা’র পরিচালায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সহজিয়া’-এর শিল্পীবৃন্দ। সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী বারী সিদ্দিকী, আকরামুল ইসলাম, দিল আফরোজ রেবা, চন্দনা মজুমদার এবং আবদুল হালিম খান। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন পিনু সেন দাস (তবলা), হাসান আলী (বাঁশি), বিশ্বজিৎ সেন (মন্দিরা), দশরথ দাস (ঢোল), নির্মল কুমার দাস (দোতারা) প্রমুখ।

এএসএস/এমএম/এমএইচ/একে/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।