বইমেলায় নিজের সঙ্গে একা


প্রকাশিত: ০১:০৩ পিএম, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

গল্পটা একজন মায়ের। মনোজগত আচ্ছন্ন করে ফেলা, দুঃখজাগানিয়া এই আখ্যানের বাস্তবতা অন্যরকম। জীবনের বাঁকে বাঁকে মানুষকে অনেক অভিঘাত আর বেদনার সড়ক পেরোতে হয়। জীবনের রঙ ও রূপের বিভা এত বিচিত্র যা কল্পনাকেও হার মানায়। সময়, সম্পর্ক ও সম্পত্তির লোভে মা-বাবাকে নিয়ে তৈরি হয় মিথ্যা গল্পের ফাঁদ।

একজন মা কাতর, ক্লিষ্ট অভিজ্ঞতা আর দীর্ঘশ্বাস বুকে চেপে বৃদ্ধাশ্রমে চলে যান- নিরাসক্ত এবং একাকী। আবার কোনো মা সজীব, সুন্দর ও সফল জীবন ছেড়ে জীবনের শেষ পর্বে বৃদ্ধাশ্রমের নতুন এক জীবনের ভেতরে ঢুকে পড়েন।

সংসারের স্মৃতি, সন্তানের প্রতি প্রবল টান মাকে সারাক্ষণ কাতর করে। কিন্তু মা আশায় বুক বাঁধেন- বৃদ্ধাশ্রমের কত মাকে ছেলে এসে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। একদিন তিনিও ফিরে যাবেন নিজের সংসারে, ছেলের কাছে, নাতি-নাতনিদের কাছে। কিন্তু মমতার হাত বাড়িয়ে সন্তান কী আসে মায়ের কাছে?

অসহায় ও নিঃসঙ্গ এই বৃদ্ধ বাবা-মায়েরা কোথায় চলে যান? কোথায় আশ্রয় মেলে তাদের? ভেজা চোখের ন্যুব্জপ্রায় মানুষগুলো ঠিকানা খুঁজে ফেরেন। ঠিকানা কি আদৌ খুঁজে পান?

এমনই এক সত্য কাহিনি অবলম্বনে চিঠির আঙ্গিকে লেখা এই উপন্যাস। তিনিই এতে প্রধান। কিন্তু সমান্তরালে- সংসারে মার খাওয়া, ঠিকানা হারিয়ে ফেলা একঝাঁক বিষণ্ন মানুষের শেষ ঠিকানা- বৃদ্ধাশ্রম। উপন্যাসটি একজন দুঃখী মা এবং বহু অসহায়-বেদনাময় জীবনের বর্ণিল বা সাদাকালো অ্যালবাম বা ঘূর্ণি বা আখ্যানও।

একনজরে-
বইয়ের নাম: নিজের সঙ্গে একা
লেখকের নাম: মাসউদ আহমাদ
বইয়ের ধরন: উপন্যাস
প্রকাশনী: সময় প্রকাশন
স্টল নং- ০৩।

এসইউ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।