সরকারের ডিজিটাল সেবা সম্পর্কে নাগরিকদের অভিযোগ নিচ্ছে এটুআই
অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আগত দর্শণার্থীদের সঙ্গে পরিচিতি বাড়াতে মেলার বাংলা একাডেমি প্রান্তে স্টল নিয়েছে সরকারের ডিজিটাল পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করা প্ল্যাটফর্ম এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)। এ স্টলের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে এটুআইয়ের পরিচিতি বাড়ানোর পাশাপাশি সরকারের চলমান বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা, অভিযোগ কিংবা পরামর্শ নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা হয় এটুআইয়ের কর্মী এম তরিকুল হকের। আলাপকালে এম তরিকুল হক জানান, ‘যারা এটুআই সম্পর্কে জানেন তারাও আসেন, আবার যারা জানেন না তারাও আসেন। যারা এটা সম্পর্কে জানেন না তারা জানতে চান। যখন আমরা বলি এটুআই সরকারের বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা বাস্তবায়ন করছে, তখন তারা খুব প্রশংসা করেন। আবার অনেকেই আছেন সরকারের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিভিন্ন সময় সেবা নিতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন, সে বিষয়ে অভিযোগ জানান। পরামর্শও দিয়ে থাকেন অনেকে। তবে বিষয়টি ভালোভাবেই নিচ্ছে সাধারণ মানুষ।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এটুআইয়ের কমিউনিকেশন অফিসার আদনান ফয়সাল বলেন, যেহেতু বই মেলা আমাদের জাতীয় বিষয়। এখানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ আসেন। তাই তাদের সঙ্গে আরও ভালো করে পরিচিত থেকে বই মেলার স্টল অনেক বড় ভূমিকা রাখে। এছাড়া বই মেলাকে কেন্দ্র করে আমাদের বিশেষ আয়োজন থাকে। আমরা ২০১৮ সালে কিশোর বাতায়ন প্রকাশ করি বই মেলা থেকে। বিশ্বের অন্যতম বড় প্ল্যাটফর্ম মুক্তপাঠ আমরা বই মেলা থেকেই প্রকাশ করেছি।
এবারের বই মেলায় এটুআইয়ের বিশেষ কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি জানান, ‘আগামী ৬ মাস আমরা একটা ক্যাম্পেইন পরিচালনা করবো। সরকারের যেসব সেবা রয়েছে তা নিয়ে মানুষের মূল্যায়ন জানবো। সেইসঙ্গে আমরা সেখানে জানতে চাইব নাগরিকরা ২০৪১ সালে কেমন উদ্ভাবনী বাংলাদেশ দেখতে চান। সেই মতামত ও মূল্যায়ন আমরা প্রান্তিক নাগরিক থেকে জানতে চাই। আমরা যে তথ্যগুলো পাবো, নাগরিকদের নিজস্ব মতামতগুলো পাবো, আমরা তো সরকারের সব বিভাগের সঙ্গে কাজ করি। আমরা বিষয়গুলো সরকারের উচ্চপর্যায়ে অবহিত করতে পারবো।
সরকারি ডিজিটাল সেবা মানুষ কেমন গ্রহণ করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক সেবা আছে, যেগুলোর সম্পর্কে মানুষ সব জানে না। তবে যারা জেনেছেন, সরকার এ ধরনের সুবিধাটা দিচ্ছে। সবাই জানার পর সে সুবিধাটা গ্রহণ করছে। জানছে কিন্তু গ্রহণ করছে না এমনটা খুবই কম।’
এমআইএস/এমএএইচ/