‘শালুক’ থেকে প্রকাশ হলো ৩ কবিতার বই
বইমেলায় অধুনাবাদী চিন্তার লিটল ম্যাগাজিন ‘শালুক’ থেকে প্রকাশ হয়েছে গত শতকের নব্বইয়ের দশকের তিন ব্যতিক্রম ধারার কবির তিনটি কবিতার বই। বই তিনটি হলো-- ওবায়েদ আকাশের ‘নির্জনতা শুয়ে আছে সমুদ্র প্রহরায়’, মাহফুজ আল-হোসেনের ‘সিজোফ্রেনিক রাখালবালিকা ও মনের বাঘ’ এবং ভাগ্যধন বড়ুয়ার ‘জ্বর ও নজর’।
সিজোফ্রেনিক রাখালবালিকা ও মনের বাঘ: কবি ও নন্দনতাত্ত্বিক মাহফুজ আল-হোসেনের পঞ্চম কবিতার বই ‘সিজোফ্রেনিক রাখালবালিকা ও মনের বাঘ’। বইটিতে তার সিজোফ্রেনিক সিরিজের ২৬টি কবিতা আছে। এ ছাড়া চলমান মহামারি ও অন্যান্য বিষয়ে স্বতন্ত্র কবিতাগুলো স্ব স্ব ক্ষেত্রে উজ্জ্বল। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী সমর মজুমদার।
পেশগত জীবনে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত। শালুকের সহযোগী সম্পাদক। যাপিত জীবনে কবিতাকে তিনি নিরবচ্ছিন্ন শক্তির আধার বলে মনে করেন। বৈষয়িক ব্যস্ততার মাঝেও একটু অবসর পেলেই পাল উড়িয়ে দেন কবিতার ডানায়।
জ্বর ও নজর: ‘জ্বর ও নজর’ কবি ভাগ্যধন বড়ুয়ার ষষ্ঠ কবিতার বই। এটি একটি সিরিজ কবিতার সংকলন। এ সিরিজে মোট আশিটি কবিতা স্থান পেয়েছে। প্রতিটি কবিতা চার লাইনের। মাত্র চার লাইন করে কবিতায় ধরা পড়েছে বোধের গভীরতা। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী সমর মজুমদার।
ভাগ্যধন বড়ুয়া পেশাগতভাবে একজন চিকিৎসক হলেও ধ্যানজ্ঞানে সারাক্ষণ কবিতার ভাবনায় ডুবে থাকেন। চারদিকের ভরা প্রাচুর্যের মাঝেও কবিকে খুঁজতে হলে হারিয়ে যেতে হয় অরণ্যে, অপর পৃষ্ঠায় কিংবা নদীর নিজস্ব ভাষায়।
নির্জনতা শুয়ে আছে সমুদ্র প্রহরায়: ওবায়েদ আকাশের ভাষ্যে তিনি সব সময় নিজেকেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেন এবং নিজেকেই অতিক্রম করতে চান। যে কারণে তিনি গতানুগতিকতা ও পুনরাবৃত্তিকে পরিহার করে প্রতিটি বইতেই স্বতন্ত্রভাবে আত্মপ্রকাশ করেন। এটি তেমন একটি বই। জেন কর্নওয়েলের চিত্র অবলম্বনে বইটির প্রচ্ছদ করেছেন কবির হোসেন।
পেশাগত জীবনে ওবায়েদ আকাশ গণমাধ্যমে চাকরি করেন। সম্পাদনা করেন লিটল ম্যাগাজিন ‘শালুক’। সারাক্ষণ কবিতামগ্ন এক অখেয়ালী জীবনকে বয়ে চলেছেন আশা-নিরাশায়।
বই তিনটি পাওয়া যাবে বইমেলায় লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে ‘শালুক’র স্টলে। এ ছাড়া জনান্তিকের ৩৯৫-৩৯৬ ও অভিযানের ৯৩ নম্বর স্টলে।
এসইউ/এএসএম