শিশুদের জন্য শাহাদাত রাসএলের ‘বর্ণে বর্ণে বাঙালি’
বাল্যশিক্ষার সময়টাকেই ধরা হয় একজন শিশুর মানসিকতা গঠনের সবচেয়ে মূল্যবান সময়। কিন্তু বাল্যশিক্ষার অন্যান্য বইগুলোতে বাংলা ও বাঙালির গৌরবের ইতিহাসের চেয়ে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে রুপকথার গল্প।
এই ভাবনা থেকেই এবারের একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে শাহাদাত রাসএলের লেখা বাল্যশিক্ষা বা বর্ণ পরিচয়ের বই ‘বর্ণে বর্ণে বাঙালি’।
এই বইতে বাংলা ভাষার প্রতিটি বর্ণ দিয়ে একেকজন প্রখ্যাত বাঙালির সাথে শিশুদেরকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছে। এখানে চেষ্টা করা হয়েছে আমাদের অতীতকে আলোকিত করা মহান মানুষদের সাথে আগামীকে যারা আলোকিত করবে সেইসব শিশু কিশোরদের মধ্যে একটি সংযোগ স্থাপন করতে।
বইটি খুললেই চোখে পড়বে অ-তে অতুল প্রসাদ সেন। অতুল প্রসাদ সেনের কর্মময় জীবনের আলোকে লেখা হয়েছে চার লাইনের সহজবোধ্য ছড়া। যেই ছড়া শিশু মননে অতুল প্রসাদ সেন সম্পর্কে ধারণা দেবে এবং তার সম্পর্কে আরো জানার আগ্রহ তৈরি করে দেবে।
ছড়ার পাশাপাশি দেখা যাবে অতুল প্রসাদ সেনের একটি চমৎকার পোট্রেট। এভাবেই একেকটি বর্ণের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে বিজ্ঞান, সাহিত্য, রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে অবদান রেখে যারা আলোকিত করেছে বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতিকে সেইসব গুণীজনদেরকে।
প্রায় ৬০ জন গুণী মানুষের কথা তুলে ধরা হয়েছে এই বইতে। লেখক ব্যক্তি নির্বাচনে প্রাধান্য দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ, শিশু সাহিত্যের সাথে যুক্ত মানুষদেরকে।
শাহাদাত রাসএল বলেন, ‘বইটিকে বর্ণ পরিচয়ের বই বলা হলেও বইটি দশ বারো বছর বয়সীদের জন্যেও সুখপাঠ্য ও সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি।’
বইটির প্রতিটি পোট্রেট ও অলংকরণ করেছেন চারু পিন্টু। একুশে বইমেলায় এই দরকারী বইটি পাওয়া যাবে শিশু চত্বরের পংখীরাজ প্রকাশনীতে। পাশাপাশি মেলায় নওরোজ, ভিন্নচোখ ও এক রঙা এক ঘুড়িতেও পাওয়া যাবে বর্ণে বর্ণে বাঙালি।
এলএ/এমএস