মেলাকে প্রাণবন্ত করেছে শিশুদের উপস্থিতি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:০৩ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

নতুন বইয়ের মলাটে চোখ আটকে যায় ওদের। নিজের জন্য উপযুক্ত কোনটি সেটি বোঝার এখনও বয়স হয়নি। তাতে কি হয়েছে- নতুন সব বইয়ে হাত লাগাবে। ছড়া, কার্টুন, গল্প ও কল্প বিজ্ঞানের বই পেলে সঙ্গে আসা বাবা মায়ের কাছে কিনে দিতে বায়না ধরবে। বাবা মাকেও আনন্দ দেয় সন্তানদের এমন আবদার এবং বই ঘাটাঘাটি।

পুরো সময়জুড়ে এ স্টল থেকে ওই স্টলে ওদের ঘোরাঘুরি মেলাকে করেছে আরও প্রাণবন্ত। বয়সে ছোট হলেও ওদের উপস্থিতিতে সৌন্দর্য বাড়ে মেলার। বই কেনার থেকেও ওদের অংশগ্রহণ মেলাকে করেছে প্রাণবন্ত। তাইতো তাদের জন্যই আলাদা সময়। কর্তৃপক্ষের ঘোষণায়- ‘শিশুপ্রহর’।

অমর একুশে বইমেলায় এবার ৬ষ্ঠ দিনের মতো চলছে শিশুপ্রহর। গত কয়েক বছরে এবারই মেলা সর্বোচ্চ সংখ্যক শিশুপ্রহর পেতে যাচ্ছে। সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত সময়টুকুতে কোমলমতি ছেলেমেয়েরা বাবা মায়ের হাত ধরে মেলায় আসে। ঘুরে ঘুরে দেখে বই। পছন্দের বই কিনেও নেয়। কচিকাচার এ মেলবন্ধন মেলাকে করেছে পবিত্র।

শিশুপ্রহরে বেচাকেনাও হয় বেশ। মেলার একটি অংশতো শুধু শিশুদের জন্যই ঘোষণা করা হয়েছে। নাম শিশুচত্বর। এখানের সব স্টলে শুধু শিশুদের বই পাওয়া যায়। শনিবার মেলার শিশু চত্বরে দেখা যায় শিশু কিশোররা পছন্দের সব বই কিনছে।

উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সানজানা রশিদ বলে, গতবারও আব্বু আম্মুর সঙ্গে মেলায় এসেছি। এবারও আসলাম দ্বিতীয় দিনের মতো। মেলা থেকে আমি একটি কার্টুনের বই এবং একটি গল্পের বই কিনেছি।

সানজানার বাবা ব্যবসায়ী রশিদ আহমেদ বলেন, আসলে ওদের উপস্থিতিতে মেলার সৌন্দর্য বাড়ে। অবশ্যই বলতে হবে কচিকাচার এ উপস্থিতি মেলার সৌন্দর্য বাড়িয়েছে। মেয়েকে নিয়ে মেলায় আসলাম। তাকে পুরো মেলা ঘুরে দেখিয়েছি। খুব ভালো লাগে, ওদের সময় দিতে পারলে।

এমএইচ/এএসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।