এ স্রোতের শেষ কোথায়!


প্রকাশিত: ০১:৩৬ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

`দোস্ত, এ স্রোতের শেষ কোথায়!` বেসরকারি নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আফসানা মিমির এমন প্রশ্নে ক্লান্তির ছাপ থাকাটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু চোখে-মুখে ফুটে উঠেনি তেমন কিছু্। ক্লান্তি না আনন্দটাই উপভোগ করছেন তিনি। কারণ আর একটু সময় দাঁড়ালেতো আবেগের জায়গায় পৌঁছানো যাবে। তাইতো সঙ্গে থাকা বন্ধু হান্নান তালুকদারের উত্তর `এই যে সামনেই।`

হান্নান তালুকদার `এইতো সামনে` বললেও লাইন ছিল অনেক বড়। তবে কারো চেহারায় ক্লান্তি নেই। এমন দৃশ্য অমর একুশে বইমেলায় প্রবেশের। মেলার ১৮তম দিন(শনিবার) ছুটি থাকায় ইট-পাথরের  ঢাকার মানুষগুলো পুরো সপ্তাহে ছুটির দিনটুকু খুঁজে নেয় বিনোদনের জন্য। আজও এর ব্যত্যয় ঘটেনি।

সুযোগ পেয়েই বইমেলায় যেন ছুটে এসেছে নগরীর সব মানুষ। সকাল ছিল শিশুদের দখলে। বিকেলে  দেখে যেন মনে হয়, মেলায় যোগ দিয়েছেন জেলা শহরের মানুষগুলোও। মেলার জন সমুদ্রের চিত্র যেন সেটিই বলে।

book

মেলায় প্রবেশের প্রথমেই চোখে পড়ে ঠিক টিএসসি থেকে দীর্ঘ লাইন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশে অপেক্ষমান হাজারো দর্শনার্থীর। সারিবদ্ধ হয়ে বইপ্রেমীরা সুশৃঙ্খলাভবে প্রবেশ করছে মেলায়। দোয়েল চত্বর থেকেও একই চিত্র। তবে বাংলা একাডেমিতে প্রবেশে এমন দৃশ্য চোখে পড়েনি। নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যারা তল্লাশি করে প্রবেশ করাচ্ছেন।  

আফসানা মিমি জাগো নিউজকে বলেন, লাইনে দাঁড়িয়ে প্রবেশ করতে সময় লাগছে ঠিক, তবে আমি এতে ক্লান্তি বা বোধ করি না। বইমেলায় তো আজ তৃতীয় দিনের মতো আসা। সব সময়ই ভিড় থাকে, আজ একটু বেশি আরকি! মেলায় আসতে পেরেছি এটাই বড়।

এমএইচ/এএসএস/এএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।