বইমেলায় হুসাইন আজাদের ‘অক্ষত আয়না’
“কবিতা প্রেম, কবিতা আবেগ, কবিতা অনুভূতি, কবিতা আয়না, কবিতা জীবন...” কবিতাকে ঠিক এভাবেই দেখেন হুসাইন আজাদ। সেজন্যই কবিতা লেখা। এই লেখা কবিতাগুলোই এবার কাছের মানুষদের তাগাদায় বই আকারে প্রকাশ হচ্ছে, নাম ‘অক্ষত আয়না’।
কবিতার বৈচিত্র্য, শক্তি বা স্বাদ কেমন, বই হাতে পেলে তার বিচার পাঠকই করবেন। তবে বইটিতে স্থান পাওয়া ৫৬টি কবিতা যে হুসাইন আজাদ তার সামর্থ্যের সর্বোচ্চটি দিয়ে লিখেছেন তা বলাই যায়।
সময়ের দরবারে নিবেদন আর তারুণ্যের জয়গান গেয়ে লেখা হুসাইন আজাদের কবিতার বইটি এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে প্রকাশ করছে ‘দেশ পাবলিকেশন্স’। প্রচ্ছদ করেছেন লিমন মেহেদী। এটি পাওয়া যাবে গ্রন্থমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের ৫০২-৫০৩ নম্বর স্টলে।
বয়সে তরুণ হুসাইন আজাদ পেশায় সাংবাদিক। কাজ করছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি অনলাইন নিউজপোর্টালে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর হুসাইন আজাদ শৈশব থেকেই সাহিত্যচর্চায়। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে পড়ার সময় প্রাতিষ্ঠানিক ও আঞ্চলিক পত্রপত্রিকায় তার কবিতা-গল্প প্রকাশ হতে থাকে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর জাতীয় দৈনিকগুলোতে লিখেছেন নিরলস। সম্পাদনা করেছেন ‘ডাক’ ও ‘তোরণ’ নামে দু’টি লিটলম্যাগও।
এখন সাংবাদিকতায় মগ্ন থাকলেও কবিতা-ই হুসাইন আজাদের প্রথম প্রেমিকার মতো ভালোবাসার জায়গা। সারাদিনের ক্লান্তি বা মন খারাপ তার উবে যায় একখানি কবিতা পড়লে অথবা নিজে লিখতে পারলে। কবিতার প্রতি তার এমন জমানো ভালোবাসাই ‘অক্ষত আয়না’র মোড়কে যাচ্ছে পাঠকের হাতে।
প্রথম কবিতাগ্রন্থ প্রকাশ নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত হুসাইন আজাদ বলেন, “যা দেখা হয়, যা ভাবা হয়, সাধারণত তাই লেখা হয় বলে মনে করি। ‘অক্ষত আয়না’ এমনই সময়পাঠ। একজন মানুষ, বিশেষত তরুণ অথবা তরুণী কী ভাবেন নিজকে নিয়ে, তার প্রকাশ আছে ‘অক্ষত আয়না’য়।”
তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন, সময়পাঠের এ কবিতাগুলো পাঠকের একান্তই আপন মনে হবে, যেন নিজের কথা। তারপরও বিচারের ভারটা পাঠকের এমনকি মহাকালের হাতেই দিয়ে রাখতে চান হুসাইন আজাদ।
এইচএন/জেআইএম