মেলায় স্বকৃত নোমানের নতুন উপন্যাস শেষ জাহাজের আদমেরা


প্রকাশিত: ০৩:২৬ পিএম, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে সমুদ্রপথে মানবপাচার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বহুল আলোচিত একটি ঘটনা। পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে মালয়েশিয়াগামী বহু বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা ক্ষুধা-তৃষ্ণায় পথেই মারা যায়। থাইল্যান্ডের জঙ্গলে আবিষ্কার হয় বহু গণকবর। মানবপাচারের এই মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে তরুণ ঔপন্যাসিক। স্বকৃত নোমান লিখেছেন ‘শেষ জাহাজের আদমেরা’ উপন্যাসটি।
বইমেলায় প্রকাশিত  হয়েছে উপন্যাসটি। যা মেলার অনিন্দ্য প্রকাশের ৪৫৬-৫৭-৫৮-৫৯ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে। এটি তার অষ্টম উপন্যাস। গত দুই বছর ধরে তিনি উপন্যাসটি লিখেছেন।

এইচএসবিসি-কালি ও কলম ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল হুমায়ূন আহমেদ তরুণ সাহিত্যিক পুরস্কার, এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কারসহ নানা সম্মাননায় ভূষিত এই লেখকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তার বই লেখার অনুপ্রেরণার বিষয়টি।

তিনি জানান, চারশ বছর আগেও মগ-ফিরিঙ্গি হার্মাদরা বাংলার উপকূল থেকে মানুষদের অপহরণ করে নিয়ে যেত। দাস হিসেবে বিক্রি করে দিত আরাকান ও দাক্ষিণাত্যের বন্দরে ইংরেজ, ফরাসি এবং ওলান্দাজ বণিকদের কাছে। চারশ বছর পর প্রায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে মালয়েশিয়ায় মানবপাচারের ঘটনা ঘটেছে এবং তা এখনো অব্যাহত। স্বকৃত নোমান বলেন, ‘ঘটনার প্রতিবেদন নয়, আমি মূলত ইতিহাস ও সমকালের এই দুই বাস্তবতাকে উপন্যাসের আঙ্গিকে ধরেতে চেয়েছি।’

উপন্যাসের কাহিনীতে দেখা যায়, চারশ বছর আগে মগ-ফিরিঙ্গি হার্মাদরা অপহরণ করে সিতারাবানুর স্বামীকে। সিতারাকে তাড়া করে ভয়ংকর এক দুঃস্বপ্ন : তার শিশুপুত্রকে গিলে ফেলেছে সাগরের মস্ত এক কুমির। চারশ বছর পর নূরনিসাকে তাড়া করে আরেক দুঃস্বপ্ন : ধনেশ পাখি হয়ে উড়ে গেছে তার এক শিশুপুত্র। স্বপ্ন কি বাস্তবে রূপ নেয়? নইলে সমুদ্রস্নানে সময় কেন উড়ে যায় নূরনিসার পুত্র শিবু?

স্বকৃত নোমানের জন্ম ১৯৮০ সালের ৮ নভেম্বর, ফেনীর পরশুরাম উপজেলার বিলোনিয়া গ্রামে। তার প্রকাশিত অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে : রাজনটী, বেগানা, হীরকডানা, কালকেউটের সুখ এবং গল্পগ্রন্থ : নিশিরঙ্গিনী, বালিহাঁসের ডাক। হয়েছেন এই তরুণ ঔপন্যাসিক।

এইচএস/জেএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।