বইমেলায় শিশুদের সঙ্গী সিসিমপুর
অমর একুশে বইমেলায় আজ দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে শিশুপ্রহর। মেলার চতুর্থ দিন হওয়ায় দর্শনার্থীদের আনাগোনা কম হলেও যারা এসেছেন তারা সঙ্গে এনেছেন নিজ সন্তানকে। ঘুরে ঘুরে দেখাচ্ছেন মেলার বিভিন্ন স্টল। এতে করে শিশুদের কাছে বইমেলার গুরুত্ব বাড়ছে। আর বরাবরের মতো মেলার শিশু কর্নারে রয়েছে তাদের প্রিয় সিসিমপুর।
শনিবার দুপুর ১২টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সিসিমপুরের আয়োজনে শিশু চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় শিশুদের জন্য আনন্দ আড্ডা। টেলিভিশনের পর্দায়ও শিশুদের প্রিয় অনুষ্ঠানের নাম সিসিমপুর। সুযোগ পেলেই টুকটুকি, ইকরি এবং হালুমদের দেখায় ব্যস্ত হয়ে ওঠে তারা। আজ সরাসরি দেখে আনন্দের মাত্রাটা আরেকটু বেশিই তাই তাদের।
শিশুরাই হালুম, টুকটুকি, ইকরিদের ডাকে। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে শিশু চত্বরে একে একে হাজির হয় তারা। এসেই স্বভাবসুলভ আচরণ। টেলিভিশনের পর্দায় দেয়া সংলাপগুলোর পুনরাবৃত্তি।
‘আমার নাম টুকটুকি। বই পড়তে ভালোবাসি। আমার মাথায় বড় চুল, তাই আমি বেনী করি। এসব বলে শিশু চত্বরের চারপাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের সঙ্গে হাত মেলায় টুকটুকি।
হালুম বলে, ‘মাছ ভাজা, খেতে কী মজা। তাইতো আমি বেশি বেশি মাছ খাই।’ আর ইকরির কথা, ‘আমি ইকরি, প্রশ্ন করতে ভালোবাসি। কারণ, প্রশ্ন করলে সবকিছু জানা যায়।’
এরপর হালুম, টুকটুকি, ইকরিরা একসঙ্গে নাচতে শুরু করে। শিশুরাও নাচে তাদের সঙ্গে।
আয়োজকরা বলেন, শিশুদের বিনোদনের জন্য বাংলা একাডেমির সঙ্গে কথা বলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়; যা শিশুদের মানসিক বিকাশে সাহায্য করে।
রাজধানীর আজিমপুর গার্লস কলেজের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবাহ জাগো নিউজকে বলে, বইমেলায় এসে খুব ভালো লাগছে। হালুম, টুকটুকিদের সঙ্গে নাচানাচি করেছি। দুটি বইও কিনেছি। খুব ভালো লাগছে।
এমএইচ/এএসএস/এনএফ/জেআইএম