সুতাশঙ্খ থেকে তিনটি কবিতা


প্রকাশিত: ০৬:৫৩ এএম, ১৯ জানুয়ারি ২০১৭

শিমুল জাবালি’র কাব্যগ্রন্থ ‘সুতাশঙ্খ’ আসছে বইমেলায় আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। প্রকাশিতব্য এই বই থেকে তিনটি কবিতা পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো—

আঙুলের গন্ধ

তোমরা যাকে ঝাড়বাতি বলো
তাকে আমরা বলি আত্মহত্যার সিম্ফনি
মলাটমাখা কানকোতে প্রতিবেশির আঘাত ঠেস মারলে
ঘটনাস্থলেই জন্ম হয় মৃত্যুর। লিরিক্যাল বাতাসে ওসব
মৃত্যু সাঁতার কাটতে কাটতে হলদে হয়।

আমরা হলুদকে মাঝে মাঝে আঙুলের গন্ধ মনে করে হাই তুলি...
হাসপাতাল গিয়ে জানা যায় তোমরা কখনো চুইংগাম চুষে দৌড়াওনি

****

অবসরে রেডিওটা বন্ধ করো

কবিতা পোড়ানো উৎসব করার আগে হাসপাতালে চিঠি দিত বেনজির। বাদাম কিনে তরকারিতে দিতে পারতো লালশাক। যদিও আমাদের অন্য কোনো মসলাপাতি ছিল না। বেহুঁশ কীর্তনিয়ার দোতারার তার ছিঁড়ে গেলে নারী বিছানা খুঁজতে খুঁজতে শিশেড়ব হুমড়ি খেতো। আমরা পিল নিয়ে দৌঁড়াতাম। নারী তানপুরা দোলাতে দোলাতে শুয়ে পড়তো মাকড়ের ঠোঁটে। কলিগ বসে থাকতো বিতংস স্তনে। বেনজির অবসরে রেডিও তেহরান শুনে দু’ভ্রুর মাঝে টিপ দেয়। ভিয়েনার দু’আঙুলে-ট্রাম্প কার্ড।
ও কলিগ— অবসরে রেডিওটা বন্ধ করো

****

ঋতুকাল

নরম বাতাস কাটাকুটি করতে গিয়ে আমরা আমাদের উৎসব হারাই
লাল কাপড়ে মোড়ানো গন্ধরাস রেখে ঝড় সইতে গিয়েও উন্মাদ হই
উৎসব- পাতাদের সংসারে কোণঠাসা
উন্মাদ- ঋতুকালের অবসর
নিকানো ছায়ায় যেসব অবসর
অমৃতে দ্রিম দ্রিম মাদল বাজাতো
কিংবা যেসব মেঘ হারিয়ে যেতো
তাদের দেখভাল সহজ নয়
যে ঋতুকালে সাঁতরায়
তার ডানা নেই
যে ভরামাসে ম্যারাথন করে
তার অস্থি নেই
আমরা ফ্রকের ঘ্রাণ শুকতে শুকতে বাতাস কাটি
কানতামাশা দেখে দেখে ঝপঝপ আনন্দ করি

এসইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।