বইমেলায় দীর্ঘ হচ্ছে নারী লেখকদের তালিকা


প্রকাশিত: ০৩:৩৬ এএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

প্রতিবছর লেখক-পাঠক আর প্রকাশকের সেতুবন্ধনের সুযোগ করে দেয় অমর একুশে বই মেলা। আর এ মেলাকে কেন্দ্র করে নারী সাহিত্যিকদের তালিকায় যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম, দীর্ঘ হচ্ছে তালিকা।

আগের তুলনায় সাহিত্যাঙ্গনে নারীদের বিচরণ বাড়লেও আলোচনায় এসেছে গুটিকয়েক নাম। তবে  সৃজনশীলতা আর ধারাবাহিক চর্চার সাথে উৎসাহ-প্রচারণা যোগ হলে বাংলা সাহিত্য আরো অনেক গুণী লেখিকা পাবে বলে বিশ্বাস অগ্রজ সাহিত্যিকদের।

ঘর-সংসার আর কর্মক্ষেত্রের ব্যস্ততার তোড়জোড়েও, হাত থেকে খসে পড়তে দেননি কলম। বরং সবকিছু সামলেও যে নারীরা সাফল্যের সাথে সাহিত্যচর্চা চালিয়ে যেতে পারে তা দেখিয়ে দিলেন একটি বেসরকারি ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সুফিয়া বেগম।

তিনি বলেন, `কর্মব্যস্ত সময় থেকেই আমি কিছুটা সময় বের করি লেখালেখির জন্য।`

তবে প্রচারণায় কিছুটা অভাব থাকলেও সাহিত্যে নারী-পুরুষের কোন বিভাজন নেই পাঠকের কাছে। মেলায় আগত একজন পাঠক বলেন, `পাঠক হিসেবে আমাদের কাছে লেখক হিসেবে নারী-পুরুষ কোনো ভেদাভেদ নেই, ভালো বই হলেই পাঠক তা পড়বে।`

অন্য একজন পাঠক জানালেন, নারী লেখিকাদের লেখা সম্পর্কে আরও প্রচারণা চালানো উচিৎ।` বর্তমান সময়ে অনেক মানসম্মত লেখা উপহার দিয়ে নারী সাহিত্যিকরা সাহিত্যাঙ্গণে অনেকটাই জায়গা করে নিয়েছেন বলে মনে করেন প্রবীণ লেখিকারা।

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, `একটি মেয়ে সারা দিন কাজ করে পড়ার টেবিলেও যেতে পারে না, লেখালেখির জন্য তো আরও বেশি সময় দরকার। এরপরও অনেকেই ভালো করছেন ও বিভিন্ন জায়গায় পুরস্কৃত হচ্ছেন। এটা নিয়ে আমি অবশ্যই আশাবাদী, এখানে প্রতিযোগিতা নয় সাধনা দিয়েই মেয়েরা তাদের আপন ভুবন তৈরি করে নেবে।`

এআরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।