অন্তর [বর্তী] গ‌ণিতার √ ফেরোমন

একার সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা এক নিঃসঙ্গ পর্যটক

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৪ এএম, ০৪ মার্চ ২০২৫

জোবায়ের মিলন

কবিকে পরিপূর্ণ বুঝে ওঠার সাধ্য কোনোকালে সাধারণের ছিল কি না জানি না। তবে এইটুকু জানি, পাঠক বুঝে উঠলেই কবির মরণ নিশ্চিত; মরে যায় কাব্যের অন্তঃস্থিত পুণ্যের সকল ধারাপাত। কবি সেইখানেই পতনের পাতা নির্মাণ করেন— আর না সামনে যাবার সমস্ত পথের পরিক্রমা। তখনই ঐশ্বরিক লেনদেন চুকিয়ে তার সাধ্যের সাধনা ঊর্ধ্বাকাশ থেকে পাতালে নেমে গড়াগড়ি দেয় পায়ে পায়ে। জীর্ণ পল্লব সম শব্দ কেবল ঝনঝন নিস্বনে আত্মক্রন্দনই বাজিয়ে যায় শীর্ণ আহ্বানে। তাই তো জীবনানন্দ কিংবা অলোকরঞ্জন বা বিনয় খোঁজে যুগের এই যুক্তবর্ণকালেও বহুদল বহুভাবে কোদাল অথবা শাবল হাতে খনন করে বনলতা সেন, রবীর সোনার তরী। কিন্তু তরী কতটুকু ধরা দেয়! কতটুকু চিত হয়ে দাঁড়ায় ঠাকুর পো?

বিজ্ঞাপন

ফলে পূজার অর্ঘ্য কাসার পাত্রে নিয়ে সারি সারি প্রার্থী খুঁজে বেড়ায় অলৌকিক ফুলের পাপড়ি—কোমল কমলের গন্ধ। এই সময়ে ঋজু রেজওয়ান সেই বহতার উত্তর পুরুষ। যদিও একই তুল্যে শামিল করে দাঁড়িপাল্লায় বসানোর স্পর্ধা নেই। তবু নিজেকে উহ্য রাখার যে সাহস, সে সাহস তার আস্তিনে লুকিয়ে তিনি যেন আড়ালে বসে চেলে যাচ্ছেন গুঁটি—আপন নির্মাণ ভাস্বর করার নিরন্তর চেষ্টায়। ফলত প্রত্যক্ষ হয়, একার সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা এক নিঃসঙ্গ পর্যটকই তিনি ও তার কবিতা।

কবিতা আসলে এমনই। এমনই তো তার স্বভাব, চলন, বলন, বাস; কবির মস্তক খেয়ে নিশ্চুপ ভূমিষ্ঠ হওয়া নশ্বরে অনশ্ব-অধিশ্ব; বদল হতে হতে বদলে যাওয়া পুনঃবদলের স্বর তুলে ফের ভাঙনের ভেতর দিয়ে গড়ার সঙ্গহীন রমণী। কবি তার সহন পাত্র মাত্র; আগুন খেয়ে আগুনের জন্মদাত্রী। ঋজু তারই উদাহরণ। যখন কবিতার কাঠামোতে শব্দের পর শব্দ ঠেসে যুগের জঞ্জালযজ্ঞ কবিত্বের উন্মাদনায় সব কাঁপিয়ে-দাপিয়ে চুরমার করার আপ্রাণ দম্ভে ও দাম্ভিকতায় অহেতুক হাঁটছে রঙিন পোশাক অবয়বে মেখে—সেখানে ‘অন্তর [বর্তী] গ‌ণিতার √ ফেরোমন’ সাধন তপস্যার অনন্য উপহার, নিভৃতচারী কবি—ঋজু রেজওয়ানের চিন্তার ফলক।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

“এই যে আকাশ, তার— কিছুই গোপন নয়!
একথা হিমালয়কে জানায়; পাহাড়—
শুধু বাগানকে এবং সবাই রক্তদ্রোণ ফুলকেও।

হঠাৎ একটি পাখি— যে পথে চলল, তাকেও...
সফ্টলি পুরোটা শুনে...
যদি ঘুষ সাধি, সে কী নিবে? কে জানে, হয়ত!

যাই হোক— আমি করব না। তবে ভালো হত
না জানালে! জানলে অনেক কিছু, না জানলে...
সব মহৎই স্বতঃসিদ্ধ। যদি গ্রীষ্ম অক্ষাংশ হইত
তাইলে কী কইতাম তুষারের জাদু ছিল? নয়ত!

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

যা করার ইচ্ছা ছিল, তা গোপনই রাখছি, প্রিয়!
Sapphire Fellow-রা—
কী করতে পারত! বা কী জানত? নতুন ধাঁচের
এক মহাবিশ্ব, নিজের গোপনাংশ উন্মুক্ত করছে...”
(AXIOM [প্রকৃতি])

যদিও জানি, গণিত এক নীরস মিউজিক, খটখটে বাদ্যযন্ত্রের আয়োজন; কিন্তু ‘অন্তর [বর্তী] গ‌ণিতার √ ফেরোমন’ ভ্রমণে দেখি সরস এক দাবার চালে কঠিন অঙ্কগুলো কেমন জীবন্ত হয়ে জীবনের অনুষঙ্গের সঙ্গে মিশে অকৃপণ আবেদন তৈরি করে অনুভবে রণন তুলছে সুপুষ্পের মতো। সঙ্গে মহাজাগতিক শূন্যবিন্দু সাবজেক্ট হয়ে আমাদেরই যেন আমাদের সামনে উপস্থিত করছে শূন্যরূপে এবং আপন রূপ খুঁজতে গিয়ে একটি শূন্যতায় মিলিয়ে যাচ্ছি নিমিষে; যেখানে আমি কে? আমি কি? ফিরে ফিরে আসছে আমাদেরই কাছে।

“পূর্বমাণ ১৩.৮ বিলিয়ন—
রহস্য (আবৃত) পুঞ্জীভূত [বিন্দু] গুরুভার!

বিজ্ঞাপন

বিস্ফোরিত বীর্যপাত—
যাত্রার শুরুতে... রুপান্তর—
পারমাণবিক কণার রাজশ্রী
বাঁধা আর রাধা উপেক্ষা করেই
ছুটছে তো ছুটছেই—
মিলিয়ন/বিলিয়ন!

ফ্যালোপিয়ান টিউবে... লক্ষাধিক বৎসর
চল— তে... চল— তে...
অ্যাম্পুলার গ্যালাক্সিতে...
রাজশ্রী, হাইড্রোজেন মেঘে সঙ্গমজঙ্গমে
জাইগোট হয়ে যাই।

অতঃপর— একটা প্রোটন...এ ইলেকট্রন;
নিত্যকার নিউট্রনে বিভাজিত আমিসমূহে
ব্লাস্টুলা, গুস্ট্টুলা, মোরুলায়— তৈরি হই!
হৈ/হৈ... বীন ছায়াপথে আমার প্রতিস্থাপিত

বিজ্ঞাপন

নিউক্লিয়াসে... ভাজ্য হতে হতে আমিই—
নিউক্লিয়ন— আদি ও অন্ত। প্রথমত বিন্দু।”
(প্রকৃত আমি, বিন্দু)

গণিত যদি বিষয় হিসেবে, রূপক হিসেবে, অভিব্যক্তির মাধ্যম হিসেবে যে কোনো রূপে, যে কোনোভাবে কবিতায় ব্যবহৃত হয়, তাকে আমরা গাণিতিক কবিতা বলি। গণিত যেমন কয়েক শাখায় বিভক্ত, গাণিতিক কবিতাও যে শাখায় রচিত, সেইভাবে বিভিন্ন রকমের হতে পারে—হতে পারে Arithmetical poetry, হতে পারে Algebraic poetry, হতে পারে Geometrical poetry, হতে পারে Calculus poetry, হতে পারে পরিমিতিক কবিতাসহ মিশ্র গাণিতিক কবিতা, যেখানে একটি কবিতায় গণিতের একাধিক শাখার ধারণা একই সাথে ব্যবহৃত হয়। ঋজু রেজওয়ানের কবিতায় গণিতের এই প্যাটার্ন অনেকদিন থেকেই দেখছি। যদিও গাণিতিক কবিতার আবির্ভাব নতুন নয়, তবু অনর্থক আমি/তুমি, তুমি/আমি আর অপুষ্ট আবহমানতার ভিড়ে প্রায় অব্যবহৃত গাণিতিক কবিতা চর্চার আবহে ঋজু একনিষ্ঠ নিবিষ্ট—যিনি এই ফর্মে বিষয় নির্বাচন করছেন গতানুগতিকতার বাইরে এমন কিছু বিষয়, যা কবিতার অগ্রযাত্রাকে উজ্জ্বল রাখতে সহায়ক হচ্ছে তার মনোষ্কাম-কবিতায় যোগ হচ্ছে আরওতর কিছু।

এ জায়গা থেকে বলা যায়, ‘অন্তর [বর্তী] গ‌ণিতার √ ফেরোমন’ কাব্যগ্রন্থে কবি গাণিতিক প্যাটার্নে মহাজাগতিক বিষয়— শূন্যবিন্দুর আত্মানুসন্ধানে যে বিরামহীন শ্রম লগ্নি করেছেন, তা ফেলনা যায়নি, আরও আরও ফলনে ভরেছে গোলা।

বিজ্ঞাপন

“বিন্দু এক অদ্বিতীয় বস্তু! আসলেই কি নির্বস্তু?
ক্ষুদ্রতম প্রাকৃত ধাঁধায়—
আমিও অসংখ্যবার— ক্রমান্বিত ধারাবাহিকই,
শুধু বিভাজ্য অস্তিত্বে;

তুমি— অবিভাজ্য অবয়ব! বন্ধনসীমার ক্ষেত্র,
তলের গড়ন নেই—
প্রাকৃতিক বিভাজ্য অস্তিত্বে...নির্বস্তুক শূন্যতার
হেজিমনি আয়তন;

খুঁজছি— ক্লিভেজ আঁকা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র নির্বস্তু!”
(হেজিমনি আয়তন)

বিজ্ঞাপন

এ গ্রন্থের আরও একটি কবিতা পড়তে পারি, তার কবিতাকে আরও একটু অনুধাবনের পরিকল্পে, যেখানে সংখ্যাটাকে দেখা যায় ব্যবহৃত বাস্তবতার বিষয় উপস্থাপনে ব্যবহারের মৌলিক ভাঙা-গড়ার উপাত্তে—

‘সংখ্যাই প্রকৃত! আধিপত্যই— তার জগৎ।
আর, সেখানেই...নিরাপত্তা!
যেমন— মায়ের কোল, প্রিয়তমার স্পর্শ, প্রেমিকের ঠোঁট।
মনে আছে কিছু... কবে সংবাদ পড়েছ?

শেষ পৃষ্ঠার খবর?

তুমি হয়ত বা আমার মতন নও। তুমি হতে পার {৯ বা ১০}
গত ১ বৎসরে...
মোট শিশুজন্ম সংখ্যা বলতে পারবে?
দিন— ৩৬৫ বা মাস— ১২, ঘণ্টা— ২৪, মিনিট— ৬০
সেকেন্ড ৬০ পর্যন্ত। প্রতি সেকেন্ডেই এত এত শিশু!

মৃত্যু সংখ্যাও খবর!

মতিউর রহমান, ২০ আগস্ট, ১৯৭১। T-33 বিমানবিধ্বস্ত।
ক্রমে উন্মোচিত- অপারেশন সার্চলাইট।
গণহত্যা ও গণকবর এবং বধ্যভূমি, নির্যাতন কেন্দ্র মিলে...
৪২ জেলা— ২১ হাজার ৮’শ ছাপান্ন।
এইসব সংখ্যার নেতৃত্বে...(মুক্তিযুদ্ধ) স্বাধীনতার সংগ্রাম।
তবুও- কিছু সংবাদ (টেলিগ্রাফ টাওয়ারে) হারিয়ে গেছে।

সংখ্যাই হচ্ছে খবর!
.
.
.

জীবন একটি বড় সীসা। বালির কণাও! তোমার কাজই
বালিতে শস্যই উৎপাদন করা।
তুমি জানোই না— যেকোনো শস্য ফলাতে...আগে ভাগে
ঠিক সিদ্ধান্ত জরুরি। যতক্ষণ না- তুমি ঘরে ফসল তুলছ!

একত্রিত করো, যারা—
গণনা করার উপায়টা জানে... এক! এক! এক!
(আংশিক, সংখ্যা)

গণিতের অঙ্ক, সংখ্যা, রকম, চিহ্ন ও শব্দের সঙ্গে আমরা অহরহ পরিচিত নই বলে বা অবারিত আবহমানতার প্রচল শব্দাবলির সঙ্গে অধিক পরিচিত বিধায় ঋজু রেজওয়ানের এই কাব্যগ্রন্থের কোনো কোনো কবিতার অন্তর্নিহিত তাৎপর্যে পৌঁছতে বিলম্ব হতে পারে বা ধরেও ছেড়ে যেতে পারে কিংবা বুঝে উঠতে কোথাও কোথাও কঠিন মনে হতে পারে কিন্তু সামান্য সময় নিয়ে, কিছু শব্দের অনুসন্ধান অথবা জানার পর পাঠে বসলে তাকে যেন আরেক মাত্রায় আবিষ্কার করা হয়, যা সচরাচর না। যা দেখে আমরা অভ্যস্ত, তা না; কিন্তু কাব্যনুভবে কোথায় যেন টক-টক করে টোকা দেয়। একটা ছবির চিত্র ভাসতে ভাসতে ডুবে গিয়ে আবার ভেসে ওঠে— ভাসে। যা স্পর্শ করেও করা হয় না। ফলে কবিতার যে চিরকালীন ঘোমটা, যে রূপ-রস-রহস্য-সৌন্দর্য; যে আবেদন, নিবেদন-তা কখনো মূর্ত, কখনো বিমূর্ততার ভেতর দিয়ে পাঠক মনকে আন্দোলিত করে।

এখানে উল্লেখ থাকা দরকার যে, কবিতা পড়তে প্রস্তুতি লাগে, কবিতার জন্য জানা লাগে, সময় লাগে। কেউ কেউ বলেন, কবিতা যদি খুঁড়ে খুঁড়েই পড়তে হয় তবে আর পড়া কেন! কবিতা আসলে খুঁড়েই পড়তে হয়, আঁচড়িইে প্রাপ্তির নেশায় শব্দের পিছু ছুটতে হয়— এরপর প্রাপ্তি পাঠককে সার্থক করে তোলে। ‘অন্তর [বর্তী] গ‌ণিতার √ ফেরোমন’এর কবিতায় ঋজু সেই আবছায়াটিই রেখেছেন, যে ছায়া থেকে ছবিটি আলোতে আসতে একটি অপেক্ষা সগর্বে অপেক্ষা করছে— সেই পাঠকের জন্য, যে পাঠক আবিষ্কারের অবিরল চেষ্টায় বিসর্জন দেন আপন গান। সুতরাং কিছুটা পাঠ চর্চা না থাকলে এ কবিতাগুলোকে দুর্বোধ্য ঠেকতে পারে। যা প্রকৃতই দুর্বোধ্য নয়, আমাদের জানার অভাবের মন্তব্যমাত্র।
একবার ঋজু রেজওয়ানের কবিতা বা ‘অন্তর [বর্তী] গ‌ণিতার √ ফেরোমন বা গাণিতিক বলয়াবৃত্ত কবিতা বুঝে উঠতে পারলে, তার গাত্রমণিতে যে নিগূঢ় কাব্যিক রস সঞ্চিত, তার গহর থেকে যেকোনো পাঠককেই উদ্ধার করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠবে, নিশ্চিত। তাই এই কাব্যগ্রন্থটি পাঠোত্তর এ কথা বলেই অন্তে যেতে চাই যে, আলোচ্য গ্রন্থের কবিতাগুলো সরাসরি বস্তুকে চিহ্নিত না করে বস্তুর অন্য পিঠ দেখায়। এই অন্য পিঠ অপর পিঠ নয়, এটি অনেকটাই অস্ফুট ইশারার মতো মনে হয়। আর এর বাস্তবতা গাণিতিক-গহনে মহাজাগতিক বিন্দু-বলয় হলেও লক্ষ্যে সে অর্জুনের মতোই স্থির, কোথাও না কোথাও পৌঁছে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়। এটিই মূলত ভেঙ্গে গড়ার নিরলস শিল্প।

ঋজু সে শিল্পকে স্কন্ধে নিয়ে অবিশ্রাম পরিশ্রম করে চলছেন। জানি না— এ শ্রম কোন ঘাটে গিয়ে ভিড়বে। তবে তাকে অন্য ঘাটের জলই মনে হয়, যার সাক্ষ্য তার কবিতা। বিশেষত ‘অন্তর [বর্তী] গ‌ণিতার √ ফেরোমন’এর কবিতা আলাদা নয় বরং মহাজাগতিক টানেলে নিজের ধ্যানকে ঘুরিয়ে আনার তীব্র অভিজ্ঞতা।

এটিকেও একেবারে অস্বীকারের হয়ত উপায় নেই যে, নিরীক্ষাধর্মী বা ভিন্ন প্যাটার্নের কবিতা কিংবা ভাঙ্গা-গড়া চক্রের স্ট্র্যাগলের মধ্যদিয়ে অতিক্রান্ত কবিতারা কখনোই সমকালে অধিক পঠিত হয়ে ওঠে না, হয়ে ওঠে না জনপ্রিয়। তবে এও সত্য যে, মহাকাল তাদের নিয়ে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে— কখনো কখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে পড়ে আমাদের সব বাধা, অনীহা ভেদ করে অভেদ্য স্পৃহায়; যাকে আমরা বলি বাঁক বদলের কবিতা বা ভিন্ন বাঁকের কবিতা। ঋজুর কবিতা— সেই ভিন্ন বাঁকের হয়ে মহাকালের চ্যালেঞ্জ নিতেই অগ্রসর হচ্ছে; নির্দ্বিধচিত্তে।

“আমি
নই
শৃঙ্খল;
বি-শৃঙ্খল
তুষারের কার্ভি
মুছে যায়! যে, নাথিটি-
খুঁজছেন- টাইপ করুন। মহাজাগতিক আশ্রয়!
প্রতিফলিত- অনুতাপ করুন এবং পুনরায় বুট করে অর্ডার ফেরত দিন।

৩টি জিনিস নিশ্চিত— মৃত্যু, ট্যাক্স ও হারানো ডেটা; যা ঘটুক অনুমান।
তবুও আপনি খুঁজছেন, স্মৃতির বাইরে আকাশ!
নীরবপর্দার মৃত্যুর জন্য-
অনুপস্থিতির
স্থিতি...তে
আপনার
ফাইল
Crash.”
(ফিবোনাচ্চি Crash)

আমি বইটির বহুল পাঠ ও প্রচার কামনা করছি।

বই: অন্তর [বর্তী] গ‌ণিতার √ ফেরোমন
ধরন: কবিতা
কবি: ঋজু রেজওয়ান
প্রকাশনী: ঘাসফুল
মূল্য: ২০০ টাকা।

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

লেখক: কবি ও কথাসাহিত্যিক।

এসইউ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।