বইমেলায় ফিলিস্তিনের কবিতার বই ‘সূর্যগ্রহণের পাশে’
প্যালেস্টাইন বা ফিলিস্তিন, বিশ্বরাজনীতির এক তালগোল পাকানো অস্বস্তিকর জনপদ। যার সূত্রপাত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর ১৯৪৮-এর সময় থেকে। আর বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নীরব সমর্থনে ইসরায়েলেরা দফায় দফায় নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়ে নির্যাতন, হত্যা ও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের মাধ্যমে শান্ত সবুজ দেশটিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে, প্রতিটি মুহূর্তে বৃদ্ধি করে চলেছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীর সংখ্যা। বিগত কয়েক মাস ধরে ইসরায়েলি নিধনযজ্ঞ ইতিহাসখ্যাত অতীতের সব গণহত্যাকেও হার মানিয়েছে।
প্রতিনিয়ত এমন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনি সাহিত্য বিশেষভাবে কবিতা বিশ্বব্যাপী গণমানুষের কাছে সমীহ তৈরি করেছে। একটি জাতির বহু বছর ধরে চলে আসা মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি সবুজঘেরা শান্ত একটি জনপদের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা শূলব্যথা, যন্ত্রণা, কষ্ট ও কান্নার নিনাদ শুনতে পাওয়া যায় এ অঞ্চলের কবি-সাহিত্যিকদের কলমে। তাদের কবিতা প্রমাণ করে ফিলিস্তিনের কবিতা মানে প্রতিদিন বারুদের ঝাঁঝ, ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়েও সংগ্রাম, অবিরাম রক্তক্ষরণ ও বিক্ষুব্ধ মনের ঝড়তোলা প্রতিবাদের এক দীর্ঘ নকশিকাঁথা।
আরও পড়ুন
• আহমেদ শিমুর ‘অচেনা পথে চেনা মানুষ’
• বইমেলায় মুহাম্মদ ফরিদ হাসানের ‘চাঁদপুর সমগ্র’
সেসব কবিতার অনুবাদ নিয়েই বাংলাদেশের কবি ও প্রাবন্ধিক মামুন মুস্তাফা প্রকাশ করেছেন ‘সূর্যগ্রহণের পাশে (ফিলিস্তিনের কবিতা)’ কাব্যগ্রন্থটি। অনূদিত কাব্যগ্রন্থটির প্রচ্ছদ করেছেন চন্দন চৌধুরী। বইটি প্রকাশ করেছে লেখমালা। বইটির পরিবেশক অনুভব প্রকাশনী। মূল্য রাখা হয়েছে ১৬৫ টাকা।
বইটিতে মোট ১০জন ফিলিস্তিনি কবির পরিচিতিসহ তাদের কবিতাগুলোর অনুবাদ নয় বরং বলা যায়, মানবিক ভাষান্তর ঘটেছে বাংলাদেশের কবিতায় বিষয়বৈচিত্র্যে বাঁকফেরা নয়ের দশকের স্বতন্ত্র কবিকণ্ঠ মামুন মুস্তাফার কলমে।
এসইউ/এমএস