সারাবছরই বইয়ের প্রচার করা উচিত: ফখরুল হাসান

সালাহ উদ্দিন মাহমুদ
সালাহ উদ্দিন মাহমুদ সালাহ উদ্দিন মাহমুদ , লেখক ও সাংবাদিক
প্রকাশিত: ০৬:৩৪ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০২৩

ফখরুল হাসান একাধারে কবি, কথাশিল্পী, ছড়াকার, গীতিকার ও শিশুসাহিত্যিক। কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলায় তার জন্ম। চাকরি করেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। লেখালেখির পাশাপাশি ওয়েবম্যাগ কাব্যশীলনের প্রকাশক। সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক সংগঠন এসবিএসপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। পরিবার নিয়ে ঢাকার মিরপুরে বসবাস করেন।

২০১৬ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘হৃদয় পোড়া গন্ধ’ প্রকাশিত হয়। এরপর প্রকাশিত হয়েছে কাব্যগ্রন্থ ‘নিমগ্ন দহন’, ‘বীভৎস চিৎকার’, ‘মনমন্দিরে সেই তুমি’, ‘দহন দিনের গান’, ‘বিজয় নিশান’, গল্পগ্রন্থ ‘দাম্পত্যের অন্তরালে’, শিশুতোষ গল্পগ্রন্থ ‘গল্পগুলো বিজয়ের’, সম্পাদিত ছড়া সংকলন ‘একশো ছড়াকার একশো ছড়া’ এবং সম্পাদনা করেছেন ‘প্রজন্মের ভাবনায় গল্পে ৭১’।

সম্প্রতি বইমেলা ও বই প্রকাশ সম্পর্কে কথা বলেছেন জাগো নিউজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কবি ও কথাশিল্পী সালাহ উদ্দিন মাহমুদ—

জাগো নিউজ: আগামী বইমেলায় আপনার কয়টি বই প্রকাশিত হচ্ছে?
ফখরুল হাসান: দুটি গ্রন্থ প্রকাশিত হতে পারে। ছোটগল্প, এখনো নাম ঠিক হয়নি। ফাইনাল কথা হয়েছে হরিৎপত্র প্রকাশনের সঙ্গে। তারা পাণ্ডুলিপি চেয়েছেন। শিশুতোষ ছড়াগ্রন্থ হবে ‘প্রাণের বাংলাদেশ’ নামে। এরই মধ্যে প্রচ্ছদ হয়ে গেছে। এখন ছড়া বাছাই চলছে।

আরও পড়ুন: লিখতে চান অনেকেই কিন্তু পড়তে চান কম: শফিক হাসান

জাগো নিউজ: বাংলা একাডেমি আয়োজিত আগামী বইমেলা কেমন দেখতে চান?
ফখরুল হাসান: অবশ্যই লেখক ও পাঠক বান্ধব পরিবেশ বজায় থাকে এমন বইমেলা চাই। ধুলো-বালি মুক্ত পরিবেশ। পর্যাপ্ত টয়লেট এবং লেখক জোন তৈরি করা উচিত। যেখানে লেখক বসে চা, পান, সিগারেট খেতে পারবেন অনায়াসে। আমাদের অগ্রজ লেখকের জন্য একাডেমি চা-নাস্তার ব্যবস্থা করতে পারে। বিশেষ করে যাঁদের বয়স ষাট পেরিয়ে গেছে। লেখক জোনে এ ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

জাগো নিউজ: আপনার দেখা বিগত বইমেলায় কোনো অসঙ্গতি চোখে পড়েছে?
ফখরুল হাসান: বেশ কিছু অসঙ্গতি চোখে পড়েছে। যেমন শিশু চত্বরকে অবহেলিত মনে হয়েছে। স্টল বিন্যাস ও বরাদ্দ দেওয়ার সময় এগুলো মাথায় রাখা উচিত বলে মনে করি। শিশু কর্নারে এমন কিছু স্টল চোখে পড়েছে, পুরো মেলায় তাদের খরচ যা হয়েছে, তার অর্ধেক টাকার বই বিক্রি হয়েছে কি না সন্দেহ আছে। মেলার মাঠে উঁচু-নিচু গর্ত ছিল চোখে পড়ার মতো। বেশ কয়েকজন লেখককে পা মচকে যেতে দেখেছি! যা দুঃখজনক। প্রকাশনীর স্টল বরাদ্দ ছিল হযবরল অবস্থা। স্টলগুলো গোছানো হলে মেলার সৌন্দর্য বাড়তো।

জাগো নিউজ: বইমেলায় বইয়ের বিক্রি বাড়ছে নাকি কমছে?
ফখরুল হাসান: অবশ্যই বেড়েছে। এটা বোঝা যায় মেলা শেষে বই বিক্রির ঘোষণা থেকে। তবে উন্মুক্ত আকাশ সংস্কৃতির যুগে পাঠক কিছু কমেছে মনে হয়। পাঠক কমার দায় লেখক, পাঠক ও প্রকাশনীর। এখানে মেলা কর্তৃপক্ষকে দায়ী মনে হয় না।

আরও পড়ুন: বইয়ের জোগান অনুযায়ী বিক্রি কম: শফিক রিয়ান

জাগো নিউজ: বইয়ের প্রচারণাকে কোন দৃষ্টিতে দেখেন?
ফখরুল হাসান: অবশ্যই ইতিবাচক চোখে দেখি। আমি বা আমার সংগঠনের উদ্যোগেও বইয়ের প্রচার করে থাকি। বুক রিভিউ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকি। শুধু মেলাকে ঘিরে নয় সারাবছরই বইয়ের প্রচার করা উচিত।

জাগো নিউজ: বইমেলার পাঠকের জন্য কী পরামর্শ দেবেন?
ফখরুল হাসান: আপনারা মেলায় আসুন। আপনাদের শিশুদের সঙ্গে নিয়ে আসুন। আর হ্যাঁ, অবশ্যই আপনার পছন্দের লেখকের একটি হলেও বই সংগ্রহ করুন।

এসইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।