ছুটির দিনে জমজমাট চট্টগ্রাম বইমেলা
চট্টগ্রামের অমর একুশে বইমেলায় ২১ ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা দিবসে লেখক-পাঠকদের মিলনমেলা বসেছে। সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল বেশি। শিশু থেকে বৃদ্ধ সববয়সী নারী-পুরুষের আনাগোনায় পুরো বইমেলা ছিল জমজমাট। বিশেষ করে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভিড় ছিল বেশি।
পাঠক-দর্শনার্থীর উপস্থিতি থাকলেও আনুপাতিক হারে বই বিক্রি হয়নি। তবে অন্যদিনের চেয়ে বেশি বই বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকাশকরা। চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজির দেউড়ি এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম মাঠে এ মেলা চলবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
বইমেলার আপন আলোর স্টলে ‘৭১ এর চান মিয়া’ ও ‘বাবার কেরামতি’ বই দুটির লেখক আহসানুল কবির রিটন বলেন, আজ একুশে ফেব্রুয়ারি। এই দিনটিকে ঘিরেই ২১ দিনের এই মেলা। আজ সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় পাঠক-দর্শনার্থীর উপস্থিতি বেড়েছে। কিছু বই বিক্রি হচ্ছে।
শিশুপ্রকাশ স্টলের পরিচালক আরিফ রায়হান বলেন, বইয়ের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আছে। আমরা শিশুতোষ বই বেশি প্রকাশ করি। মেলায় অন্যান্য বইয়ের সঙ্গে শিশুদের বইও বিক্রি হচ্ছে। আশাকরছি সামনের দিনগুলোতে আরও বেশি বই বিক্রি হবে।
শৈলী প্রকাশনের স্টলে কথা হয় লেখক-সাংবাদিক শুকলাল দাশের সঙ্গে। এবারের বইমেলায় তার লেখা ‘আনন্দপুরের দিন’ পাঠকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ভারত-বাংলাদেশের ছিটমহলের শিশুদের নিয়ে লেখা বইয়ের মূল গল্পটা আলোচিত হয়েছে বেশি। ইতোমধ্যে মেলায় আসা বইটি বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
মেলায় স্বাধীন প্রকাশনের মালিক মো. সাহাব উদ্দীন হাসান বাবু বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসটি বইয়ের মাস। এ জন্য এই মাসে সারাদেশে বইমেলার আয়োজন হয়। চট্টগ্রামের অমর একুশে বইমেলার দিন যতই গড়াচ্ছে ততই জমজমাট হচ্ছে বইমেলা। তবে বই বিক্রি হচ্ছে কম। মূলত ফেসবুক আসক্তির কারণে মানুষ এখন বইবিমুখ। মেলায় আসার তরুণ-তরুণীরা সেলফিতে ব্যস্ত। তবে পরিবার-পরিজন নিয়ে আসা লোকজন বই কিনছে। অনেকে বন্ধুবান্ধবদের বই উপহার দিচ্ছে।
ইকবাল হোসেন/বিএ/জেআইএম