মাহতাব হোসেনের নতুন উপন্যাস ‘সন্ধ্যার পরে’
ঝটিতে অহনা তমালের দিকে তাকায়। অহনার কপালের কাছটায় সামান্য কাটা দাগ। কীভাবে কেটেছিল? পড়ে গিয়ে? এই মেয়ে কি খুব দুষ্টু? অবশ্য যারা সরল, সোজা সাপটা বলতে পারে, তারা দুষ্টুই হয়। ঠোঁটকাটা স্বভাব তো। তমাল চোখ সরিয়ে নিল। অহনা বলল- ‘ভাগ্যিস, আপনি দেখেছিলেন, না হলে রক্তশূন্য হয়েই সেদিন মারা যেতাম। জানেন আমি না রক্ত একদমই সহ্য করতে পারি না। মানে একসাথে বেশি রক্ত দেখলেই আমার মাথা ঘোরে।’
চা শেষ করে তমাল মগটা নামিয়ে রাখল। অহনার ফোন বাজল। পার্স থেকে ফোনটা বের করে দেখল। তারপরে কানে লাগিয়ে বলল- ‘আম্মু আমি বাগানে, হ্যাঁ হ্যাঁ চলে আসবো। চিন্তা করোনা।’
ফোনটা আবার পার্সে ঢুকিয়ে রাখল। ‘জানো অহনা, এই জায়গাটায় আমার পার্মানেন্টভাবে থেকেই যেতে ইচ্ছে হয়। তুমি যেমনটা বললে, সামনে সবুজ পেছনে এই খরস্রোতা পাথুরে নদী, নদীর ওপারের জঙ্গলে পাখির ডাক। এখানে সকাল যেমন সুন্দর করে হয়, তেমনই সন্ধ্যাও খুব আয়োজন করে নামে। দেখো, এসেছি মাত্র ক’দিন হলো কিন্তু একদম ক্লান্তি নেই। মনে হয় এখানে সারাটাজীবন এভাবেই পার করে দেওয়া যাবে।‘
সংলাপগুলো ‘সন্ধ্যার পরে’ নামের এক নতুন উপন্যাসের। এখানে এক মানসিক যুবকের বিপর্যস্ত হয়ে যাওয়ার গল্প, পরম যত্নে ক্ষত সারিয়ে তোলার চেষ্টায় মগ্ন কিশোরীর ভালোবাসা উঠে এসেছে।
সময়ের পরিচিত তরুণ কথাসাহিত্যিক মাহতাব হোসেনের লেখা 'সন্ধ্যার পরে' উপন্যাস। লেখকের দাবি, এক ঘোর লাগা উপন্যাসের নাম ‘সন্ধ্যার পরে’। অন্তত পাঠক প্রতিক্রিয়া থেকে তাই ধারণা করা যাচ্ছে।
অমর একুশে বইমেলায় অনিন্দ্য প্রকাশের ৫ নম্বর প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাচ্ছে বইটি। এছাড়াও রকমারি ডটকমসহ সকল অনলাইন বুকশপে উপন্যাসটি পাওয়া যাচ্ছে।
এলএ/জেআইএম