বেশ রূপ এসেছে মেলায়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:০১ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

‘সবার দাবি এবং প্রত্যাশা অনুসারে মেলার আঙিনা গড়াল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। বেশ রূপ এসেছে মেলায়। মানুষ এখন প্রাণ খুলে হাঁটতে পারে। দম ফেলতে পারে। বইয়ের মেলা ঠিক এমনই হওয়ার কথা।’ বলছিলেন, মাওলা ব্রাদার্স প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী আহমেদ মাহমুদুল হক।

এই প্রকাশক বলেন, বইমেলায় অংশ নিচ্ছি ১৯৭২ সাল থেকেই। ১৯৭৪ সালে আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন হলো বই মেলা উপলক্ষে। সে বছর আমরা পুরস্কৃত হয়েছিলাম। সংগত কারণে বইমেলা নিয়ে অনেক অভিজ্ঞতাই হলো। বাংলা একাডেমি চত্বরে যে পরিবেশে মেলার যাত্রা শুরু হয়েছিল, তা ওই সময় প্রাসঙ্গিক ছিল বটে। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে মেলার পরিধি তো বাড়ল। অনেকেই অংশ নিতে থাকল। একসময় তো আর জায়গাই থাকল না। রাস্তাতেও স্টল দিতে হলো। এখন বিশাল জায়গা নিয়ে মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

‘এরপরেও নানা ত্রুটি মেলায়। আমরা প্রকাশকরা বারবার মেলা কৃর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে থাকি সমস্যাগুলো। পরিবর্তন আসে বটে। কিন্তু স্টল বরাদ্দে বৈষম্য এখনও,’- বলেন মাহমুদুল হক।

তিনি বলেন, একটি বিষয় উল্লেখ করি। এখানে অংশ নেয়া প্রতিটি প্রকাশনা সংস্থাকে ভাড়া দিতে হয়। এই ভাড়া থেকেও তো মেলার খরচ চলে। বড় প্রতিষ্ঠান টাকা দেয়, ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোও টাকা দেয়। কিন্তু প্যাভেলিয়নগুলোর বেলায় যে গুরুত্ব দেয়া হয়, স্টলগুলোর বেলায় তা হয় না। প্যাভেলিয়নের আশপাশে ইট বিছানো হয়। স্টলগুলোর পাশে কিন্তু ইট দেখতে পাবেন না। এটি বৈষম্য। সবাইকে নিয়েই মেলা। মেলা নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান করতেই হবে।

লেখার সাহিত্যমান নিয়ে তিনি বলেন, আর লেখার মান নিয়ে তো প্রশ্ন থাকবেই। এই অভিযোগ আগেও ছিল। এখনও আছে। তবে মেলা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কিছু লেখক তৈরি করাই গেল। সবাই ভালো লিখছেন, তা বলা ঠিক হবে না। কিন্তু ধারাবাহিক চেষ্টার মধ্য দিয়ে কেউ কেউ যে ভালো লিখছেন, তা স্বীকার করতেই হয়।

এএসএস/জেডএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।