সব স্রোত মিলেছিল বইমেলায়
পর্দা নামবে চলতি সপ্তাহেই। তাতে আবার শুক্রবার। ছুটির দিন পেয়ে তর যেন আর সইছিল না বইপ্রেমীদের। অন্তঃপুরে রাখা তালিকা ধরে ধরেই বই বাজারের সদাই কিনলেন দিনভর। আর সকালে যে স্রোত বইছিল মেলায়, বিকেলে তা যেন উপচে পড়লো।
মাসব্যাপী বইমেলার শেষ শুক্রবারে এমনই হয়। তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না। গোটা রাজধানী এসে মিলে যায় বইমেলার আঙ্গিনায়।
এবারেও তাই হল। বরং বিগত দিনের রেকর্ড মনে হয় ছাড়িয়েই গেলো! পা ফেলার জো ছিলো না বাংলা একাডেমি আর সোহরাওয়ার্দী প্রাঙ্গণে। আর সন্ধ্যায় তো একেবারে দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম-ই প্রায়।
শিশুপ্রহর ছিল বলে মেলায় বইয়ের ডালা সেজেছিল দিনের শুরুতেই। তবে শিশুদের প্রহরে এসে মিলেছিল বয়ষ্করাও। আর ছুটি পেয়ে শিক্ষার্থীরা ছুটে এসেছিল রাজধানীর নানা প্রান্ত থেকে। শিশুপ্রহর গড়িয়ে যখন দ্বি-প্রহর আসন্ন তখন মেলায় মানুষ আর মানুষ।
খানিক বিরতির পর বিকেলের শুরুতেই মেলার ফের পর্দা ওঠে। তবে সকালে যারা এসেছিলেন, তাদের অনেকেই রয়ে যায়। আবার গুণে গুণে যারা এ দিনটির অপেক্ষায় ছিলেন তারা দুপুরের পরেই ভিড়তে থাকেন মেলায়। দীর্ঘ লাইন। পায়ের সঙ্গে পা মেলানো। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সবাই যেন প্রাণের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠল।
ছুটির এ দিনে বইয়ের কাটতিও হয়েছে যে কোনো দিনের থেকে বেশি। প্রকাশকরা অন্তত তাই মনে করছেন। অনন্যা প্রকাশনের প্রকাশক মনিরুল হক বলেন, মেলার শেষ শুক্রবারে বই বেচাকেনা হয় যে কোনো দিনের থেকে বেশি। এ দিনটি ঘিরে আমাদের আশা একটু বেশিই থাকে। প্রস্তুতিও থাকে বেশ। সকাল থেকেই ধুম বিক্রি হচ্ছে। শেষ পর্যন্তও ক্রেতাদের ভিড় ছিল।
উত্তরা থেকে সন্তানদের নিয়ে মেলায় এসেছেন আব্দুল হালিম। বলেন, শুক্রবার ছাড়া উপায় কই! নিজের অফিস আর সন্তানদের স্কুলের কারণেই অন্যদিন আসার সুযোগ হয় না। দিনভর ঘুরে ঘুরে বই কিনলাম। ভিড়ের কারণে অসুবিধাও হয়েছে খানিক। তবে সবাই তো সাহিত্যপ্রেমী। অসুবিধা হলেও আনন্দও মিলেছে অফুরন্ত।
এএসএস/এএইচ/আইআই