একুশ ছুঁয়ে গেছে হাতিরঝিলেও

সিরাজুজ্জামান
সিরাজুজ্জামান সিরাজুজ্জামান , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:০১ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

অমর একুশের ছোঁয়া লেগেছে রাজধানীর ফুসফুসখ্যাত দৃষ্টিনন্দন হাতিরঝিলে। আজ বুধবার বিকেল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ভিড় করেন নানা বয়সী লোকজন। নারীরা পরেন সাদা-কালো শাড়ি কিংবা সালোয়ার কামিজ। পুরুষরা পায়জামা-পাঞ্জাবি। কেউ কেউ এসেছেন স্বপরিবারে। আবার কেউ কেউ এসেছেন বন্ধু-বান্ধবী নিয়ে। দূর থেকে ভেসে আসছে সেই গান- ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’। ফাল্গুনের এ পাতা ঝরার দিনে মনের গহীনে দাগ কেটে যাচ্ছে সেই ভাই হারানোর বেদনায়।

এমনিতেই সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে সৌন্দর্য পিপাসুদের ঢল নামে হাতিরঝিলে। একুশে ফেব্রুয়ারির ছুটিতে আজ হাতিরঝিলে অনেকে ঘুরতে এসেছেন। আবার কেউ কেউ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়ে সরাসারি এখানে এসেছেন। শুধু হাতিরঝিল নয় রাজধানীর আফতাবনগর, নতুন বাজার একশ ফিট ও পূর্বাচল এলাকার তিনশ ফিট এলাকায় মানুষের ঢল নামে আজ।

হাতিরঝিলে বেড়াতে যাওয়া ব্যক্তিরা গাছগাছালির আচ্ছাদনে বসে থাকা ছাড়াও ঘুরেছেন ওয়াটার ট্যাক্সিতে। অনেকে আবার নানা পদের খাবার খাচ্ছেন।

ekush-2

মিরপুর-১০ থেকে হাতিরঝিলে বেড়াতে এসেছিলেন কবির হোসেন ও তার পরিববার। তিনি জাগো নিউজকে জানান, শহীদ মিনারে ফুল দেয়া শেষে হাতিরঝিলে আসেন তারা। এখানকার দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ দেখে তার ৮ বছর বয়সী মেয়ে অনেক খুশি।

হাতিরঝিলে দর্শনার্থীদের ভিড়ে জমজমাট ব্যবসা করছেন সেখানকার দোকানদাররা। প্রকল্পের মূল পরিকল্পনায় তিন থেকে চারটি অস্থায়ী বা ভ্রাম্যমাণ দোকান বরাদ্দ দেয়ার কথা ছিল। এখন বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২৯টি দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব দোকানে খাবারের দাম অনেক বেশি রাখা হলেও ভিড় ছিল অনেক।

ফুচকা ও চটপটির দোকানে পাঁচ বান্ধবী মিলে ফুচকা খাচ্ছেন তরুণী হাসনা হেনা। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ বান্ধবী মিলে তারা হাতিরঝিলে বেড়াতে এসেছেন। বেড়ানোর ফাঁকে চটপটি ও ফুচকা খাচ্ছেন। তবে এসবের দাম বাইরের চাইতে অনেক বেশি।

ekush-3

বর্তমানে হাতিরঝিলে ১৪টি ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল করছে। কোনোটিতে আসন ৪৫টি এবং কোনোটিতে ৩৫টি। রামপুরা ব্রিজ সংলগ্ন ঘাট থেকে গুলশান-১ নম্বর গুদারাঘাট পর্যন্ত ২৫ টাকা, এফডিসি মোড় সংলগ্ন ঘাট পর্যন্ত ৩০ টাকা ভাড়া। অন্যদিকে গুদারাঘাট থেকে এফডিসি পর্যন্ত ৩০ টাকা ভাড়ায় যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারেন। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল করে।

বুধবার এসব পথে যাত্রী কম থাকলেও বিভিন্ন জায়গা থেকে ঘুরতে আসা ব্যক্তিরা ওয়ারটার ট্যাক্সিতে ঘুরেছেন। ট্যাক্সিতে ওঠার জন্য তাই অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

ওয়াটার ট্যাক্সির ড্রাইবার মুমিন হোসেন জানান, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ যাত্রী বেশি। এদের বেশির ভাগই বেড়াতে আসা লোকজন।

এইচএস/এআরএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।