ইএফটিতে আগামী সপ্তাহে বেতন পাবেন আরও এক লাখ শিক্ষক
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের প্রতিমাসের শুরুতে ভোগান্তিমুক্ত বেতন-ভাতা পৌঁছে দিতে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) চালু করেছে সরকার। গত ১ জানুয়ারি উদ্বোধনের পর প্রথম ধাপে কিছু শিক্ষক বেতন পেয়েছেন। অনেক শিক্ষক ইএফটিতে বেতনের অপেক্ষায় রয়েছেন। তাদের জন্য সুখবর দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
অধিদপ্তর বলছে, আগামী সপ্তাহে অন্তত এক লাখ শিক্ষক ইএফটির মাধ্যমে বেতন পাওয়ার এসএমএস (খুদে বার্তা) পাবেন। এসএমএস পাওয়ার পর শিক্ষকরা ব্যাংক থেকে বেতনের সরকারি অংশের টাকা তুলতে পারবেন।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, যেসব শিক্ষক প্রথম ধাপে ইএফটিতে বেতন-ভাতা পাননি, আগামী সপ্তাহে তারা বেতনের মেসেজ পাবেন। বিষয়টি নিয়ে আমাদের ইএমআইএস সেল কাজ করছে। শিক্ষকদের বেতন সংক্রান্ত প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে অর্থ ছাড় করবে অর্থ মন্ত্রণালয়। সেজন্য কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা রাষ্ট্রায়ত্ত ৮ ব্যাংকের মাধ্যমে ‘অ্যানালগ’ পদ্ধতিতে ছাড় হতো। এ অর্থ তুলতে শিক্ষকদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হতো।
ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বেতন-ভাতা ছাড়ের জন্য কয়েক পর্যায়ে অনুমোদনসহ সংশ্লিষ্ট বহু প্রক্রিয়া থাকে। এতে অনেক সময় পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের পরও আগের মাসের বেতন-ভাতা জুটতো না। তাছাড়া ঈদের পরে ‘ঈদ উৎসব ভাতা’ পাওয়ার মতো বিব্রতকর পরিস্থিতিতেও পড়তে হয়েছে শিক্ষকদের। ফলে তারাও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো মাসের শুরুতে ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা দেওয়া দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
মাউশি সূত্র জানায়, বেসরকারি স্কুল-কলেজের ৩ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে ২ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্য যাচাই করছে মাউশি। ২৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর তথ্য পায়নি সংস্থাটি। অবশিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য পেলেও তাতে ত্রুটি থাকায় সেগুলো সংশোধনের প্রক্রিয়া চলছে।
এএএইচ/কেএসআর