বঞ্চিত শিক্ষকসমাজের দুঃখ-কষ্ট নিরসন করা হবে: অধ্যাপক আমিনুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২৭ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্ট আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম

দেশের শিক্ষকসমাজের দু:খ, কষ্ট ও নিরাশা দূরীকরণে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশের শিক্ষকসমাজ অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বিভিন্ন সময়ে তাদের দু:খ, কষ্ট ও নিরাশার কথা শুনেছি। শিক্ষকদের এসব কষ্ট নিরসন করা হবে।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ‘ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪’ এর ২০২৫ সালের ক্যালেন্ডার উদ্বোধন করেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্ট এই সেমিনারের আয়োজন করে।

অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকদের দক্ষ করার জন্য বিভিন্ন রকমের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাতে শিক্ষকরা দেশের জন্য আত্মনির্ভরশীল ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে পারেন। দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কলেজগুলোতে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনা শেষে আত্মনির্ভরশীল হতে পারে এবং নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করে দেশে-বিদেশে কাজ করতে পারে।

তিনি বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডি ডিগ্রি করার জন্য ইনসেনটিভ বা আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা নেই। এসব বিষয়ে সমাধানের জন্য সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করার পর গবেষণালব্ধ জ্ঞান কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগের উপযোগী করার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

বর্তমানে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগ চলমান বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম। তিনি জানান, আগামীতে এআই রেভোল্যুশন মোকাবিলা করার জন্য যোগ্য নাগরিক গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এআই বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে কোর্স ও কর্মশালা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

বাংলার পাশাপাশি ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জনে গুরুত্ব দিতে হবে জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী বলেন, লিসেনিং, রিডিং, রাইটিং, স্পিকিং - এসব বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য দেশে ও বিদেশে সম্ভাবনাময় কর্মক্ষেত্র তৈরি হবে। একই সঙ্গে কম্পিউটারে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে পৃথিবীর সব জায়গায় নিজেদের স্থান করে নিতে পারবে শিক্ষার্থীরা। তাই তরুণদের উদ্যোগী হতে হবে। বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের জন্য তাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলাম। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী, ছাত্রকল্যাণ ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক নুরে আলম তালুকদার প্রমুখ।

এএএইচ/এএমএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।