পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সনের উদ্বোধন ১ জানুয়ারি
প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা জানুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যে সব বই পেয়ে যেতে পারে। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সব বই পেতে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
তবে বই না পেয়ে ক্লাস শুরু করা নিয়ে বিপাকে পড়তে পারে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা। সেক্ষেত্রে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বছরের প্রথমদিনে সব শ্রেণির বইয়ের পিডিএফ কপি ওয়েবসাইটে আপলোড করে দেবে এনসিটিবি।
সেখান থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা বইয়ের পিডিএফ কপি ডাউনলোড করে নিতে পারবে। প্রয়োজনে কিছু অংশ প্রিন্ট করে পড়তে পারবে।
পাঠ্যবইয়ের এ অনলাইন ভার্সনের উদ্বোধন ঘোষণা করা হবে আগামী ১ জানুয়ারি। এদিন সকাল ১০টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে (আমাই) অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন প্রধান উপদেষ্টার শিক্ষাবিষয়ক বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, এসসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান প্রমুখ।
পাঠ্যপুস্তক বোর্ড সূত্র জানায়, এবার প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪ কোটি ৩৪ লাখ ৩ হাজার ২৮৩ জন। তাদের জন্য ছাপা হচ্ছে ৪০ কোটি ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ২০২ কপি বই। প্রাথমিকের ২ কোটি ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৪৭৯ শিক্ষার্থীর জন্য ছাপানো হচ্ছে ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫টি বই।
মাধ্যমিক পর্যায়ের ২ কোটি ২৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮০৪ শিক্ষার্থীর জন্য ছাপানো হচ্ছে ৩০ কোটি ৯৬ লাখ ১২ হাজার ৮৪৭ কপি বই। তাছাড় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য সাড়ে ৮ হাজারের বেশি ব্রেইল বই ছাপা হচ্ছে। শিক্ষকদের জন্য প্রায় ৪১ লাখ সহায়িকা ছাপা হচ্ছে।
এএএইচ/এমআরএম