বাতিল বই উৎসব

বছরের প্রথমদিন পাঠ্যবই দিতে না পারার ‘ব্যর্থতা’ ঢাকতে কৌশল!

আল-আমিন হাসান আদিব
আল-আমিন হাসান আদিব আল-আমিন হাসান আদিব , নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৮ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

• ৪০ কোটির মধ্যে ছাপানো শেষ ৬ কোটি বই
• চার শ্রেণির শিক্ষার্থীরা একটি বইও পাবে না
• সব স্কুলে বই দেওয়ার ক্রেডিট নিতে ‘কৌশল’
• হাতে না পেলেও পাঠ্যবই মিলবে অনলাইনে
• অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এড়াতে বই উৎসব বাতিল

সব শিক্ষার্থীর হাতে এবার বছরের প্রথমদিন বিনামূল্যের পাঠ্যবই তুলে দিতে পারছে না সরকার। প্রাথমিকের তিনটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সব বই পেলেও চতুর্থ-পঞ্চম শ্রেণির বই ছাপানো শেষ হয়নি। মাধ্যমিকের কোনো শ্রেণির বই ছাপা সহসাই শেষ করা সম্ভব নয়। পাঠ্যবই ছাপা ও বিতরণ নিয়ে এমন লেজেগোবরে অবস্থার কারণ হিসেবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনকে দুষছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তারা। তবে তাদের এমন কথায় ‘সন্তুষ্ট নন’ খোদ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

শিক্ষক-অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টরা পাঠ্যবই নিয়ে হ-য-ব-র-ল অবস্থার জন্য পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্মকর্তাদের ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন। এনসিটিবিতে দীর্ঘদিন কর্মরতদের ভাষ্য, বর্তমান চেয়ারম্যান, সদস্য থেকে শুরু করে সব দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাই ‘অনভিজ্ঞ’। হঠাৎ দায়িত্ব নিয়ে তারা এত বড় কাজ সামাল দিতে পারছেন না। প্রেস মালিকদের সিন্ডিকেটে নাকানিচুবানি খাচ্ছেন তারা।

অনেকে নাও পেতে পারে। তবে সব স্কুলে কিছু বই পৌঁছে দেওয়া হবে। যাতে কোনো বই-ই যায়নি এ কথা না ওঠে, সমালোচনা না হয়।- বিতরক নিয়ন্ত্রক হাফিজুর রহমান

তবে এনসিটিবি কর্মকর্তাদের দাবি, বছরের প্রথমদিন তারা সব স্কুলে কিছু না কিছু পাঠ্যবই পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে কিছু কৌশল হাতে নেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী কাজও করছেন তারা।

৪০ কোটি বইয়ের মধ্যে ছাপা হয়েছে মাত্র ৬ কোটি

পাঠ্যপুস্তক বোর্ড সূত্র জানায়, এবার প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪ কোটি ৩৪ লাখ ৩ হাজার ২৮৩। তাদের জন্য ছাপা হচ্ছে ৪০ কোটি ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ২০২ কপি বই। প্রাথমিকের ২ কোটি ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৪৭৯ শিক্ষার্থীর জন্য ছাপানো হচ্ছে ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৫টি বই।

মাধ্যমিক পর্যায়ের ২ কোটি ২৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮০৪ শিক্ষার্থীর জন্য ছাপানো হচ্ছে ৩০ কোটি ৯৬ লাখ ১২ হাজার ৮৪৭ কপি বই। তাছাড়া দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য সাড়ে ৮ হাজারের বেশি ব্রেইল বই ছাপা হচ্ছে। শিক্ষকদের জন্য প্রায় ৪১ লাখ সহায়িকা ছাপা হবে।

খোঁজ নিয়ে দেখেন, জুন থেকে বইয়ের টেন্ডার, ক্রয় অনুমোদন প্রভৃতি কাজ শুরু হয়। আমরা তো দায়িত্ব নিয়েছি সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে। তারপর প্রথম থেকে আবার শুরু করতে হয়েছে। এ বাস্তবতাগুলোর দিকেও তাকাতে হবে। তারপরও আমরা জাতির স্বার্থে দিনরাত কাজ করছি।- এনসিটিবির সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) অধ্যাপক ড. রিয়াদ চৌধুরী

ছাপাখানার মালিক, মুদ্রণ শিল্প সমিতি ও এনসিটিবি সূত্র জানায়, রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল পর্যন্ত প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, ষষ্ঠ, সপ্তম ও দশম শ্রেণির সবমিলিয়ে ৬ কোটির মতো বই ছাপা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও এক কোটির মতো বই ছাপা হতে পারে। সেক্ষেত্রে ৭ কোটি বই বছরের প্রথম দিনে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আজ (রোববার, ২৯ ডিসেম্বর) পর্যন্ত প্রায় ৬ কোটি বই ছাপা ও বাঁধাই শেষ হয়েছে। আগামী দুদিন আরও এক থেকে দেড় কোটি বই ছাপা হবে। ১ জানুয়ারি সব শ্রেণির দু-তিনটি করে বই দেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা।’

এটা সত্য যে মাধ্যমিকের বই দিতে আমাদের দেরি হবে। নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই এনসিটিবির ওয়েবসাইটে সব বইয়ের পিডিএফ আপলোড করা হবে। কেউ চাইলে সেখান থেকেও সহযোগিতা নিতে পারবেন।-এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান

তবে এনসিটিবি চেয়ারম্যান ৬ কোটি বই ছাপা শেষ দাবি করলেও মুদ্রণ শিল্প সমিতির নেতারা জানিয়েছেন, তার চেয়েও কম বই ছাপা হয়েছে। আগামী দুদিনে আরও এক থেকে দেড় কোটি বই ছাপা কষ্টসাধ্য।

সব স্কুলে বই দেওয়ার ক্রেডিট নিতে ‘কৌশল’

বই উৎসব না হলেও সব স্কুলে কিছু না কিছু বই পৌঁছাতে চায় এনসিটিবি। প্রাথমিকের বই সব স্কুলে কিছু না কিছু দেওয়া সম্ভব। মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব নয়। এজন্য প্রতিষ্ঠানটি অভিনব কৌশলের পথে হাঁটছে।

কী সেই কৌশল তা জানান এনসিটিবির ছাপা বই বিতরণের দায়িত্বে থাকা বিতরক নিয়ন্ত্রক হাফিজুর রহমান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘কোনো উপজেলায় কোনো স্কুলে বই পৌঁছেনি’ এ কথা যাতে কেউ না বলতে পারেন, সেজন্য আমরা বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছি। যেমন—কোনো উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির দু-তিনটি করে বই পাঠানো হবে। অন্য উপজেলায় হয়তো সপ্তমের বই দেবো। আবার কোনো উপজেলায় দশম শ্রেণির দুটি করে বই দেওয়া হবে। এভাবে সব উপজেলায় কিছু বই যাবে।’

তাহলে সব শ্রেণির শিক্ষার্থী বই পাবে না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অনেকে নাও পেতে পারে। তবে সব স্কুলে কিছু বই পৌঁছে দেওয়া হবে। যাতে কোনো বই-ই যায়নি এ কথা না ওঠে, সমালোচনা না হয়।’

শুরুতে কারা বই পাবে, কারা পাবে না

পাঠ্যবই ছাপা শেষ না হওয়ায় ১ জানুয়ারি কোন কোন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই পাবে, আর কোন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই পাবে না, তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় শিক্ষক-অভিভাবকরা। পাঠ্যপুস্তক বোর্ড সূত্র জানায়, প্রাথমিকের প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির ৭০ লটের বই ছাপা শেষ। সেগুলো উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তবে পুনঃটেন্ডার হওয়ায় বাকি ২৭ লটের বই এখানো ছাপা শেষ হয়নি। এ তিন শ্রেণির বাকি বইগুলো ছাপা শেষ করে পৌঁছে দিতে জানুয়ারি মাসের পুরোটা সময় লেগে যেতে পারে।

বছরের প্রথমদিন পাঠ্যবই দিতে না পারার ‘ব্যর্থতা’ ঢাকতে কৌশল!

প্রাথমিকের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই ছাপার কাজ এখনো শুরু হয়নি। সেক্ষেত্রে এ দুটি শ্রেণির বই হাতে পেতে শিক্ষার্থীদের জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। সব বই পৌঁছাতে এনসিটিবির পুরো জানুয়ারি লেগে যেতে পারে।

মাধ্যমিকে ষষ্ঠ-দশম শ্রেণির দেড় কোটির কিছু বেশি বই ছাপা হয়েছে, যার মধ্যে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ছাপানো হয়েছে প্রায় এক কোটি বই। সাধারণ প্রেস মালিকদের ছাপাখানায়ও ষষ্ঠ-সপ্তমের কিছু বই ছাপার কাজ শেষ। সবমিলিয়ে ষষ্ঠ-সপ্তমের দুটি করে বই কিছু উপজেলার স্কুলে যেতে পারে। তাছাড়া দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দু-তিনটি করে বই কিছু উপজেলার শিক্ষার্থীরা হাতে পেতে পারে।

তবে অষ্টম ও নবম শ্রেণির অধিকাংশ শিক্ষার্থী বছরের শুরুতে কোনো বই নাও পেতে পারে। বই হাতে পেতে তাদের পুরো জানুয়ারি মাস অপেক্ষা করতে হতে পারে। অষ্টম-নবমের শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই পৌঁছে দিতে আরও দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগতে পারে এনসিটিবির।

জানতে চাইলে এনসিটিবির সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) অধ্যাপক ড. রিয়াদ চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘৬৫৫টি বই সংশোধন-পরিমার্জন করতে হয়েছে। সব শ্রেণির বইয়ের পাণ্ডুলিপি নতুন করে করা। তাছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে গল্প-গ্রাফিতি নির্বাচন করে বইয়ে যুক্ত করা হয়েছে। এসব করতে বড় একটা সময় লেগে গেছে। আবার অন্যবার ৩০-৩২ কোটির মতো বই ছাপানো হয়। এবার বইয়ের সংখ্যা অনেক বেশি; প্রায় সোয়া ৪০ কোটি।’

তিনি আরও বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে দেখেন, জুন থেকে বইয়ের টেন্ডার, ক্রয় অনুমোদন প্রভৃতি কাজ শুরু হয়। আমরা তো দায়িত্ব নিয়েছি সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে। তারপর প্রথম থেকে আবার শুরু করতে হয়েছে। এ বাস্তবতাগুলোর দিকেও তাকাতে হবে। তারপরও আমরা জাতির স্বার্থে দিনরাত কাজ করছি। গতকাল সারারাত (শনিবার দিনগত রাত) আমি অফিসে ছিলাম। কাজের চাপে ঘরে ফেরা হয়নি।’

বই হাতে না পেলেও মিলবে অনলাইনে!

প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা জানুয়ারির ১০ তারিখের মধ্যে সব বই পেয়ে যাবে। বই না পেয়ে ক্লাস শুরু করা নিয়ে বিপাকে পড়তে পারে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা। সেক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বছরের প্রথমদিন সব শ্রেণির বইয়ের পিডিএফ কপি ওয়েবসাইটে আপলোড করবে এনসিটিবি। সেখান থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা বইয়ের পিডিএফ কপি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। প্রয়োজনে কিছু অংশ প্রিন্ট করে পড়তে পারবে।

অনলাইনে বইয়ের পিডিএফ কপি দেওয়া হলে শিক্ষার্থীদের সুবিধা হবে বলে জানান এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘এটা সত্য যে মাধ্যমিকের বই দিতে আমাদের দেরি হবে। নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই এনসিটিবির ওয়েবসাইটে সব বইয়ের পিডিএফ আপলোড করা হবে। কেউ চাইলে সেখান থেকেও সহযোগিতা নিতে পারবেন।’

অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘এখন সবার বাড়িতে কম্পিউটার, মোবাইল, ইন্টারনেট রয়েছে। বই পেতে যাদের কিছুটা দেরি হবে, তারা অনলাইন থেকে পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে প্রাথমিকভাবে পড়াশোনা চালিয়ে নিতে পারবেন। প্রয়োজনে প্রথম দু-তিনটি অধ্যায় প্রিন্ট করেও পড়তে পারবে তারা। শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই বই দেওয়া উচিত। সেখানে এবার অনেকটা দেরির কথা গণমাধ্যমের বরাতে আমরা জানতে পারছি। এটা দুঃখজনক। যদি বই দিতে খুব বেশি দেরি হয়ে যায়, তাহলে অবশ্যই সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে দেওয়া উচিত হবে। পাশাপাশি বই হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তাদের খেলাধুলা ও এক্সট্রা-কারিকুলারে ব্যস্ত রাখতে হবে।’

অপ্রয়োজনীয় খরচ এড়াতে ‘বই উৎসব’ বাতিল

বিনামূল্যে বছরের শুরুতে বই দেওয়া শুরু হয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। বিগত ১৫ বছর বছরের প্রথমদিন সরকার ঘটা করে বই উৎসব করতো। এটি আওয়ামী লীগ সরকার তাদের অর্জনগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবেও দাবি করতো। ১ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করতেন। বই উৎসব ঘিরে বড় অংকের অর্থ খরচ হতো সরকারের।

তবে অন্তর্বর্তী সরকার ঘটা করে বই উৎসব করবে না। এনসিটিবি থেকে একটি সংবাদ সম্মেলন করে বই বিতরণ সম্পর্কে জানানো হবে। তাছাড়া নিজ নিজ স্কুলে প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষ, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং স্থানীয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে। আলাদা করে কোনো অনুষ্ঠান করা হবে না।

বছরের প্রথমদিন পাঠ্যবই দিতে না পারার ‘ব্যর্থতা’ ঢাকতে কৌশল!

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘অপ্রয়োজনীয় খরচ এড়াতে ঘটা করে বই উৎসব করতে চায় না অন্তর্বর্তী সরকার। অনলাইনে এ কার্যক্রম শুরু হবে। এরপর সব স্কুলে সুষ্ঠুভাবে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে।’

বাড়ছে কাগজের মান-উজ্জ্বলতা

এবার বই ছাপার কাজে দেরি হলেও কাগজ ও ছাপার মান ঠিক রাখতে কঠোর এনসিটিবি। বিগত বছরগুলোতে পাঠ্যবইয়ের কাগজের ওজন ৭০ গ্রাম রাখা হতো। তাতেও ফাঁকি দিতেন ছাপাখানা মালিকরা। এবার কাগজের ওজন বাড়িয়ে ৮০ গ্রাম করেছে সরকার। তাছাড়া উজ্জ্বলতা ৮০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮৫ শতাংশ করা হয়েছে।

পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান এ প্রসঙ্গে জাগো নিউজকে বলেন, ‘সরকার এবার বইয়ের কাগজ ও ছাপার মান নিয়ে কঠোর অবস্থানে। বই ছাপার কাজ কিছুটা দেরিতে হলেও শিক্ষার্থীরা এবার মানসম্মত কাগজে ছাপা বই হাতে পাবে।’

এএএইচ/এএসএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।